মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূল কর্মীর খুনে চরম চাঞ্চল্য। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম মনিরুল মুন্সী (৪২)। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের নওদা ব্লকের রাজপুর গ্রাম এলাকায়।
কী ভাবে ঘটল খুন (Murshidabad)
সূত্রের খবর গ্রামের কাঁচা রাস্তা তৈরী নিয়ে গন্ডগোল বাঁধে নওদার তৃণমূল (TMC) বিধায়িকার গোষ্ঠী এবং তৃণমূল ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীর মধ্যে। দুইপক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি আর তারপর রড, লাঠি, ইঁট নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক মারামারি। ঘটনায় আহত হয় দুই পক্ষেরই প্রায় ৭ থেকে ৮ জন ব্যক্তি। আহতদের উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় মনিরুল মুন্সী নামে এক তৃণমূল কর্মীর। মৃত মনিরুল মুন্সী নওদার তৃণমূল বিধায়িকা শাহীনা মমতাজের গোষ্ঠীর লোক বলেই পরিচিত। অপর দিকে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, যারা খুন করেছে তারা নওদার ব্লক সভাপতি সফিউর জামান শেখ তথা হাবিব মাষ্টারের কাছের লোক। আবার জানা গেছে, এই হাবিব মাষ্টার মুর্শিদাবাদ সাংসদ আবু তাহের খানের ভাগ্নে গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত। শাসকের অন্দরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলেই এই খুন বলে বিশেষ অভিযোগ বিরোধীদের।
মৃত তৃণমূল (TMC) কর্মীর ছেলের বক্তব্য
মৃত তৃণমূল (TMC) কর্মীর ছেলে সুমন মুন্সী বলেন, এলাকায় রাস্তার কাজ চলছিল। কিন্তু রাস্তার কাজ হতে দেবে না বলে তৃণমূলের লোকেরাই এসে বাধা দেয়। সেই মুহূর্তে ইট ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। পেছেন থেকে এসে তিন জন বাঁশ দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করে এবং তারপরেই বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা করার সময় মারা যান। সুমনের বিশেষ বক্তব্য ছিল, যারা মেরেছে বাবাকে, তারা তৃণমূলেরই কর্মী।
বিধায়িকা (Murshidabad) শাহীনা মমতাজ বেগমের বক্তব্য
খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল (TMC) বিধায়িকা শাহীনা মমতাজ বলেন, রাস্তা করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বহুদিন ধরেই লড়াই চলছিল। এই ঘটনা রাজনৈতিক রং নিচ্ছে বটে, কিন্তু এই খুন স্থানীয় কোন্দলের ফল, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এলাকায় একপক্ষ বলে রাস্তা হবে, অপর আরেক পক্ষ বলে রাস্তা হবে না, এই নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক দিন ধরেই সংঘর্ষ চলছিল। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, একটু ঝামেলা হলেই এখন সবাই অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়ে, এটা ঠিক নয়। মমতাজ বেগম আরও বলেন যে মনিরুল আমাদের তৃণমূল কর্মী, তাঁর মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্লক সভাপতির সঙ্গে বিধায়িকার কোন্দলের কথা জিজ্ঞেস করলে উনি জানান, আমাদের মধ্যে এখন আর কোন মতভেদ নেই, আমরা মিটিয়ে নিয়েছি। কিন্তু গতকালকের খুনের ঘটনা অপর পক্ষের বহুদিনের জেদের কারণেই ঘটেছে বলে জানান বিধায়িকা। বর্তমানে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নওদা থানার পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours