মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ৪৪ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়লেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস (UK Prime Minister Liz Truss resignation)।অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন লিজ ট্রাস। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ অর্জন করতে না পারায় পদত্যাগ করেন তিনি।দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
তবে যতদিনই দায়িত্ব পালন করুন না কেন, এখন তার গায়ে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তকমা। ফলে যুক্তরাজ্যের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য যা যা সুবিধা রয়েছে তার সবই পাবেন লিজ ট্রাস।চলমান আর্থিক সংকটের মাঝে ব্রিটেনের এই সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিপুল অর্থ কেন পেনশন দেয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। যদিও ব্রিটিশ সরকারের দাবি, নিয়ম মেনেই এই পেনশন দেয়া হবে লিজ ট্রাসকে। উল্লেখ্য, ১৯৯১ থেকে পেনশনের আওতাভুক্ত হয়েছেন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সাবেকরা।ব্রিটেনের সবথেকে স্বল্প মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী হলেও ‘পাবলিক ডিউটি কস্টস অ্যালাউন্স’ (পিডিসিএ) থেকে লিজ এখন এই ভাতা পাওয়ার অধিকারী।
ব্রিটেনের করদাতাদের অর্থ থেকে প্রতি বছর অন্তত ১ লাখ ১৫ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড (১ লাখ ২৯ হাজার মার্কিন ডলার), যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি টাকার বেশি অর্থ তুলতে পারবেন লিজ ট্রাস।
ক্ষমতায় আসার পর কর্পোরেট কর কমানোর মতো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার দায়ে দলীয় এমপিদের ক্ষোভের পর ২০ অক্টোবর বাধ্য হয়েই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে আর কোনও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে এত অল্প সময়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়নি। একই সঙ্গে লিজ ট্রাসের মতো আর কাউকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিজের দলেরই সদস্যদের বিরোধিতার মুখেও পড়তে হয়নি। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ১৩ জন এমপি সরব হয়েছিলেন লিজ ট্রাসের ইস্তফার দাবিতে। তবে ৪৪ দিনের প্রধানমন্ত্রী হয়েও লাভবানই হলেন তিনি।
এই আর্থিক ব্যয়ভারের ব্যাখ্যা দিয়ে ব্রিটেনের প্রশাসন জানিয়েছে, জনমানসে এই ব্যক্তিত্বদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই তাদের জনহিতকর কাজ এবং সেক্রেটারি রাখার খরচ বাবদ সরকারের পক্ষ থেকে এই ভাতা দেওয়া হয়।
এই অর্থ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হলেও তার ভার কিন্তু বহন করতে হয় দেশটির জনগণকেই।
+ There are no comments
Add yours