মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi mosque) পর এবার খবরের শিরোনামে কর্নাটকের (Karnataka) বিখ্যাত বাহমানি দুর্গ (Bahmani fort)। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, এই দুর্গের ভিতরে মিলেছে সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দিরের (Lord Somalingeshwara) হদিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেতাদের দাবি, দুর্গের উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে ভগবান সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দির। মন্দিরটি পুনরুদ্ধারের দাবিও জানান তাঁরা।
কর্নাটকের কালবুর্গি জেলায় রয়েছে বাহমানি দুর্গ। বাহমানি সালতানাতের শাসক হাসান গাঙ্গু শাহ ওই দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, বাহমানি শাসকরা সোমলিঙ্গশ্বরের মন্দিরের ওপর দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। ৭০ একরেরও বেশি জমি জুড়ে রয়েছে দুর্গের বিস্তার। এই দুর্গের ভিতরেই নির্মিত হয়েছিল জামিয়া মসজিদ।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ আগে মন্দিরই ছিল! বলছে ১৯৩৬ সালের নথি
হিন্দুত্ববাদী ওই সংগঠনের কর্মীরা বিশ্বাস করেন, সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দিরটি দ্বাদশ শতকে কল্যাণী চালুক্য রাজবংশের সময় নির্মিত হয়েছিল। পরে আক্রমণ করে বাহমানি সুলতান। তারাই ধ্বংস করেছিল সব। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটির অভিযোগ, শতাব্দীর পুরনো ইতিহাস সম্বলিত সোমেশ্বর মন্দিরটি প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ দ্বারা অবহেলিত হয়েছে। সরকারের উচিত অবিলম্বে মন্দিরটি সংস্কার করা। তাদের হুঁশিয়ারি, সরকার যদি আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে, তাহলে আমরা আন্দোলনে নামব।
আরও পড়ুন : ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র
কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। পরে রানি অহল্যবাই সেখানে ফের মন্দির গড়ে তোলেন। এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, সেখানেই এক সময় শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির (Shingar Gauri temple) ছিল বলেও দাবি। মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন সোহন লাল আর্য নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন আদালতে।
ম্যাঙ্গালুরুর মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ! পুজোর উদ্যোগ ভিএইচপি-র
এই আবহেই বাহমানি দুর্গের ভিতরে সোমলিঙ্গেশ্বরের মন্দিরের হদিশ মেলার খবরে সরগরম কর্নাটক। প্রসঙ্গত, রবিবারই এই রাজ্যেরই ম্যাঙ্গালুরুর এক মসজিদের অন্দরে হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ মিলেছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। ২৫ মে ওই মসজিদ চত্বরে বিশেষ ধর্মীয় আচার পালনের পরিকল্পনা করছেন স্থানীয় হিন্দুরা। ইতিমধ্যেই এনিয়ে একটি বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা।
+ There are no comments
Add yours