মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেট্রপণ্যের পর এবার ভোজ্য তেল। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে (price rise) মধ্যবিত্তকে কিছুটা স্বস্তি দিতে বিপুল পরিমাণ অশোধিত ভোজ্য তেলকে (Crude Edible Oil) শুল্কমুক্ত (Duty-free) করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বিনা শুল্কে প্রতি বছর ২০ লক্ষ মেট্রিক টন অশোধিত সয়াবিন তেল এবং অপরিশোধিত সূর্যমুখী তেল আমদানির অনুমতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। অর্থমন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০২২-২৪ সাল অবধি বছরে ২০ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং অপরিশোধিত সূর্যমুর্যখী তেল বিনা শুল্কে আমদানি করা যাবে। সিবিআইসি (CBIC) একটি ট্যুইটে লেখে, "এর ফলে অনেকটাই স্বস্তি পাবেন উপভোক্তারা।"
আরও পড়ুন: পেট্রল-ডিজেলে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্রই, দাবি অর্থমন্ত্রীর
ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধির ওপর লাগাম টানতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।কেন্দ্র যে অশোধিত সয়াবিন, সূর্যমুখী তেলের উপর আমদানি কর কমাতে পারে, এই ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। ভারত ইতিমধ্যেই অশোধিত পাম তেল, সোয়াবিন তেল এবং সূর্যমুখী তেলের উপর মূল আমদানি কর তুলে নিয়েছে। কিন্তু এই তিনপ্রকার ভোজ্য তেলের ওপর পাঁচ শতাংশ কৃষি পরিকাঠামো ও উন্নয়ন কর রয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজার ক্ষতিগ্রস্ত। সরকারের পক্ষে বাইরের দেশ থেকে ভোজ্য তেল আমদানি করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। ভারত দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ভোজ্য তেল কৃষ্ণসাগরীয় বলয় থেকে আমদানি করে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় দেশে ভোজ্য তেলের দাম দ্রুত গতিতে বাড়তে শুরু করে। ভারত প্রধানত ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল আমদানি করে। সয়া এবং সূর্যমুখী তেল আসে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে।
আরও পড়ুন: ২ লক্ষ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়! মুদ্রাস্ফীতি রুখতে দাওয়াই কেন্দ্রের
মুদ্রাস্ফীতির জেরে গতমাসেই রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে আরবিআই (Reserve Bank of India)। ইন্দোনেশিয়া তেল সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও আগামী মাসে ভারতের তেল আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
+ There are no comments
Add yours