মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজকর্মী তিস্তা (Teesta) শেতলবাদ, গুজরাটের প্রাক্তন ডিজিপি আর বি শ্রীকুমার ও সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ছয় সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (Special Investigation Team) বা সিট গঠন করল গুজরাট (Gujarat) সরকার। রবিবার গুজরাটের সন্ত্রাস দমন শাখার (Gujarat ATS) ডিআইজি দীপন ভদ্রনের নেতৃত্বে ওই দল গঠন করা হয়।
২০০২ সালের গুজরাট হিংসার (2002 Gujarat Riots) ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)-সহ বেশ কয়েক জনকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। তার বিরোধিতায় মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সম্প্রতি সেই মামলা খারিজ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার তিস্তা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু
ওই মামলায় তিস্তা শেতলবাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানায়, ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকাণ্ডে (Gulbarg Society Massacre) নিহত কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরির (Congress MP Ehsan Jafri) স্ত্রী জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) যন্ত্রণাকে কাজে লাগিয়েছেন তিস্তা। নিজেদের স্বার্থে জাকিয়ার বেদনাকে ব্যবহার করেছে তিস্তার এনজিও সংস্থা এমনই জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।
এরপরই তিস্তাকে আটক করে গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা। গুজরাট হিংসা নিয়ে মিথ্যে তথ্য দেওয়া এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে তিস্তার বিরুদ্ধে। শেতালবাদ এবং প্রাক্তন আইপিএস অফিসার শ্রীকুমার ও সঞ্জীব ভাটের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন গুজরাটের এক পুলিশ আধিকারিক ডিবি বারাড। সেখানে তিস্তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে জালিয়াতি ও ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ।
আরও পড়ুন: 'শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি', গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ
তিস্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করার পাশাপাশি নথি জাল করেছেন! তিস্তার বিরুদ্ধে এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘অন্য ব্যক্তি, সংস্থা এবং সংস্থার সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন গুরুতর অপরাধ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, আর্থিক এবং অন্যান্য সুবিধা নেওয়া ইত্যাদি অভিযোগের তদন্ত করা হবে।’’
রবিবার তিস্তাকে তাঁর মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিস্তাকে ১ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিস্তা আদালতে অভিযোগ করেন, তাঁকে গ্রেফতারের সময় তাঁর উপর পুলিশি নির্যাতন চালানো হয়। যদিও পুলিশের তরফে একথা অস্বীকার করা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours