মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর প্রবল বৃষ্টি হয়েছে অসম, মেঘালয় সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। কিন্তু এই বছর সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। আবহাওয়া দফতর এবং মেঘালয় প্রশাসন জানিয়েছে, দীর্ঘ ১২১ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। ১৯৬৬ সালে ৭৮৯.৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছিল এরপরেই ২০২২-এ ৮৫৮.১ মিমি বৃষ্টি হয়ে এক রেকর্ড গড়ে তুলেছে। এই বছরেই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে আসাম ও মেঘালয়ে, এমনটাই জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
আরও পড়ুন: বন্যায় বিধ্বস্ত গুজরাট - মহারাষ্ট্র, মৃতের সংখ্যা ১০০-এর বেশি
রিপোর্ট সূত্রে জানা যায়, বর্ষাকালের প্রথম মাসে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে মোট ৩১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন, ৭২ জন আহত হয়েছেন ও ৫০ জন নিখোঁজ। এছাড়াও অনেকই বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি যেমন- অসম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুরে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে ও এই রাজ্যেই হতাহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে বজ্রপাতের ফলে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। প্রবল বর্ষণের ফলে অসম ও মেঘালয়ার বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধসও হয়েছে, এর ফলে জুন মাসে ১৫০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
আবহওয়াবিদ রক্সি ম্যাথিউ কোল (Roxy Mathew Koll) জানিয়েছেন, অসম, মেঘালয়, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ইত্যাদি জায়গায় ১৯৫০ সাল থেকেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে বলেছন গ্লোবাল ওয়ার্মিং (Global Warming)। অর্থাৎ আবহাওয়ায় বর্তমানে অনেক পরিবর্তন আসতে দেখা গিয়েছে। ফলে ভারত মহাসাগর বিশেষ করে আরব সাগরের জল বেশি গরম হতে শুরু করেছে। ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।
এছাড়াও আধুনিকীকরণ (Modernization), মাটির ব্যবহারে পরিবর্তন এসবও বন্যা, ভূমিধসের (Landslide) ওপর প্রভাব ফেলে থাকে। তাপমাত্রাতেও বিপুল পরিমাণে পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। ১৯৮১- ২০১০ সাল পর্যন্ত যেখানে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৭৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তেমনি ২০২২-এ তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ৩৪.১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও আরব সাগরের (Arabian Sea) ওপর নিম্নচাপের (Depression) সৃষ্টি হওয়ায় জুন মাসে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। অন্যদিকে সমুদ্রের জলস্তরও (sea level) বাড়তে শুরু করেছে।
+ There are no comments
Add yours