মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের বিষমদের (spurious liquor) বলি। হাওড়ার (Howrah) ঘুসুড়ির (Ghusuri) মালিপাঁচঘড়ায় বিষমদ খেয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতদের পরিবারের দাবি, বিষমদের বলি হয়েছেন এই সকলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার একটি চোলাই ঠেকের (Hooch) বিষমদ খেয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Howrah Police)।
হাওড়ার ঘুসুড়ির মালিপাঁচঘড়া থানার ধর্মতলা এলাকায় রয়েছে অবৈধ চোলাইয়ের ঠেক। জানা গিয়েছে, ঠেকটি চালায় প্রতাপ কর্মকার নামে একজন। এই ঠেকেই নিত্য যাতায়াত করে মদ্যপায়ীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, মালিপাঁচঘড়া থানার পিছনেই রেললাইনের ধারে নিয়মিত বসে ওই চোলাইয়ের ঠেক। সেই ঠেকেই মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। পুলিশকে না জানিয়েই দেহ দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলেও একটি সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন : কয়লা-কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ৪১ জনের নাম! জানুন কে কে সেই তালিকায়
ঘটনার পরে পরেই জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দিয়েছে ঠেকের মালিক। পরে যদিও গ্রেফতার করা হয় তাকে। মৃ্ত্যুর খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুরো বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে চোলাইয়ের ঠেকটি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ঠেকে নিত্য তৈরি হয় চোলাই। প্রকাশ্যেই বিক্রিও হয়। প্রতিবাদ করলেই হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জেরেই ঠেকমালিকের এই রমরমা কারবার।
আরও পড়ুন : উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না
দিন কয়েক আগে বর্ধমানে বিষমদকাণ্ডে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ধামানের দুটি হোটেলে মদ্যপান ও খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। তাঁদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলায় মদ-লটারিতে শেষ হয়ে যাচ্ছে মানুষ। তিনি বলেন, সরকারের সব থেকে বেশি আয় এই মদ থেকে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের হাতে যে টাকা দিচ্ছেন, তা চলে যাচ্ছে পরিবারের পুরুষদের হাতে। সেই টাকায় তারা মদ খাচ্ছে। তাই এভাবে মানুষ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
বেশ কয়েক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়ও বিষমদের বলি হয়েছিল বেশ কয়েকজন। মৃতদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তার পরেও ইতি পড়েনি বিষমদে বলিতে। বর্ধমানের পর যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হাওড়ার ঘুসুড়ি।
+ There are no comments
Add yours