মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমরাবতী কাণ্ডে অভিযুক্ত ৭ জনকে এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। এনআইএ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ -এর অধীনে পৃথক মামলা দায়ের করেছে।
অমরাবতী পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগ ছিল। তাই তদন্তের দায়িত্ব পায় এনআইএ।
নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে নেটমাধ্যমে পোস্ট করায় ২১ জুন মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
অমরাবতীর পুলিশ কমিশনার আরতি সিংহ জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ জুন। উমেশ কোলহে নামে এক কেমিস্ট খুন হন অমরাবতীতে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নূপুর শর্মার সমর্থনে নেটমাধ্যমে পোস্ট করার ফলেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তর নাম ইরফান খান (৩২)। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইরফান একটি এনজিও চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ক্ষমা চান নূপুর! তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়ালালের মতোই গলার নলি কেটে খুন করা হয় ৫৪ বছরের কেমিস্ট উমেশ কোলহেকে (The chemist, Umesh Prahladrao Kolhe)। তদন্তকারীদের অনুমান, সোশ্যাল মিডিয়ায় নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) মন্তব্যের সমর্থনে তিনি কিছু পোস্ট করার কারণেই রোষের শিকার হয়েছেন তিনি। উমেশ কোলহের ছেলে সংকেত কোহলের অভিযোগের পর অমরাবতী সিটি কোতোয়ালি থানা তদন্ত শুরু করে। সন্দেহের ভিত্তিতে ছয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে এনআইএ-র হাতে এই মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হচ্ছে।
কোলহের ছেলে সংকেতের অভিযোগের পর অমরাবতীর সিটি কোতোয়ালি থানা প্রাথমিক তদন্তে মুদ্দসির আহমেদ (২২) এবং শাহরুখ পাঠান (২৫) নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও চারজনের জড়িত থাকার কথা জানা যায়, যার মধ্যে তিনজন - আব্দুল তৌফিক (২৪), শোয়েব খান (২২) এবং আতিব রশিদ (২২)কে ২৫ জুন গ্রেফতার করা হয়। শামীম আহমেদ ফিরোজ আহমেদ নামে এক যুবক পলাতক।
আরও পড়ুন: এবার অমরাবতী! নূপুর শর্মাকে সমর্থন করাতেই কি খুন? তদন্তে পুলিশ
২১ জুন রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। তখন উমেশ কোলহে তাঁর ওষুধের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। সংকেত এবং তার স্ত্রী বৈষ্ণবী অন্য একটি স্কুটারে যাচ্ছিলেন৷ সংকেত পুলিশকে বলেছেন, "আমরা প্রভাত চক দিয়ে যাচ্ছিলাম এবং আমাদের স্কুটার তখন মহিলা কলেজ নিউ হাই স্কুলের গেটের সামনে ছিল৷ বাবার স্কুটারের সামনে হঠাৎ মোটরসাইকেলে দু'জন লোক এসে হাজির হয়। তারা আমার বাবার বাইক থামায় এবং তাদের একজন তার ঘাড়ের বাঁ দিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। আমার বাবা পড়ে যায়। তখন প্রচণ্ড রক্তপাত হচ্ছিল। আমি আমার স্কুটার থামিয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে লাগলাম। এরপর একজন এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনজনকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে পালিয়ে যায়।"
+ There are no comments
Add yours