Electricity Bill: বিদ্যুৎকর্মীদের বকেয়া ডিএ-র টাকা তুলতে বিদ্যুতের দাম বাড়াল রাজ্য?

Pending DA: ডিএ-র পাশাপাশি বিদ্যুৎকর্মীদের পিএফ-এর টাকাও ঠিকমতো জমা পড়ছে না বলে অভিযোগ...
west-bengal-state-electricity-office
west-bengal-state-electricity-office

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুৎ কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ( Calcutta Highcourt)। কিন্তু, একের পর এক "শ্রী"-প্রকল্পে বিপুল অর্থ খয়রাতি ও অনুদান দিতে গিয়ে রাজ্যের কোষাগারে আগে থেকেই ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা। ফলস্বরূপ, আদালতের নির্দেশমতো রাজ্য বিদ্যুৎ কর্মীদের বকেয়া ডিএ সময়মতো মেটাতে পারেনি নবান্ন (Nabanna)। যার জেরে, আদালতের নির্দেশে বেতন আটকে যায় রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের শীর্ষ কর্তাদের। রোষে পড়তে হয়েছে রাজ্যকেও। 

এর পরই টনক নড়ে মমতা (Mamata) প্রশাসনের। কিন্তু টাকা, সেটা আসবে কোথা থেকে? এই পরিস্থিতিতে বকেয়া মেটানোর টাকা তুলতে এবার রাজ্যবাসীর ওপরই কোপ ফেলল রাজ্যের শাসক শিবির (TMC)। চুপচাপ গ্রামে-শহরে সাধারণ গৃহস্থ পরিবারের পকেট কাটার ব্যবস্থা করে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার (Bengal Government)।

আরও পড়ুন: বেতন হলেও ডিএ পেলেন না বিদ্যুৎ কর্মীরা, মাশুল বাড়িয়ে বকেয়া মেটানো হবে কি?

সাধারণত, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (পিডিসিএল)-এর থেকে বিদ্যুৎ কিনে তা গ্রাহকদের সরবরাহ করে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বা সংক্ষেপে ডব্লিউবিএসইডিসিএল (WBSEDCL)। এর জন্য ইউনিট প্রতি পিডিসিএলকে ৪ টাকা করে দেয় ডব্লিউবিএসইডিসিএল।

২০২০ সাল থেকে নিজস্ব কয়লাখনি থেকে উত্তোলন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে পিডিসিএল। ফলে, বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমে যাওয়ায়, পিডিসিএল ইউনিট প্রতি দাম ৫১ পয়সা কমিয়ে বিক্রি শুরু করে। কিন্তু, গ্রাহকদের কোনও সুবিধা হয়নি। উল্টে এখন গ্রাহকদের ওপর বাড়তি মাশুল চাপাল ডব্লিউবিএসইডিসিএল।

প্রকাশ্যে আসা Tariff অনুযায়ী, গ্রামে ১০২ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম ছিল প্রতি ইউনিট ৫.২৬ টাকা। এখন তা হচ্ছে ৫.৪৯ টাকা। শহরে এই পরিমাণ বিদ্যুতের দাম ছিল প্রতি ইউনিট ৫.৩০ টাকা। এখন হল প্রতি ইউনিট ৫.৫৩ টাকা। অর্থাৎ, সাধারণ পরিবারগুলির জন্য প্রতি ইউনিটে ২৩ পয়সা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। দাবি, দাম বাড়ার ফলে সংস্থার ৯৪২ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় হবে। নবান্ন চাইছে, এই টাকা দিয়ে বকেয়া ডিএ মেটাতে। 

আরও পড়ুন: ডিএ বকেয়া থাকায় ২ রাজ্য সরকারি কর্তার বেতন বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

শুধু ডিএ বা মহার্ঘভাতাই আটকে রয়েছে তেমন নয়। বিদ্যুৎকর্মীদের একাংশের আরও অভিযোগ, প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিএফ-এর টাকাও নাকি ঠিকমতো জমা পড়ছে না। এক্ষেত্রেও, কর্মীদের হকের টাকা জমা না করার দায়ে কাঠগড়ায় রাজ্য প্রশাসন। সম্প্রতি, বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে গিয়ে রাজ্য সরকার দাবি করেছে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির দাবি করেছে। সরকারের যুক্তি, কর্মীদের বেতন দিতে গিয়েই নাকি সব টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। এখানেই, দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন আন্দোলনকারী বিদ্যুৎকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ কেনার খরচ কমে যাওয়ার পরেও, বিদ্যুৎকর্মীদের টাকা মেটানো হচ্ছে না। উল্টে গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত মাশুল চাপিয়ে অতিরিক্ত আয় করছে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। 

তাঁদের প্রশ্ন, তাহলে টাকাটা যাচ্ছে কোথায়?

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles