মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির অন্যান্য অংশে উপজাতি ও চা বাগান এলাকায় খ্রিস্টান মিশনারিদের (Christian missionaries in tribal and tea garden) দ্বারা বড় আকারে ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি প্রমাণ মিলেছে যে, জার্মানির চার্চ এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলি আসামে ধর্মান্তরের জন্য প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে।
অসমের তেজপুরের ডায়োসিস দ্বারা জার্মানির এক চার্চের যাজককে পাঠানো একটি চিঠি দেখে এই কথা জানা যায়। এই চিঠি থেকে বোঝা যায়, বিদেশী দেশগুলি থেকে পাঠানো অর্থে আসামে ধর্ম পরিবর্তনে ব্যবহার করা হয়৷ লিগ্যাল রাইটস অবজারভেটরি (LRO)এর প্রাপ্ত ওই চিঠিতে দেখা যায়, ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ওই চার্চ থেকে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে ওই টাকা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কয়লা-কাণ্ডে ধৃত আরও এক ইসিএল কর্তা! ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক
অনুদানের জন্য ওই যাজককে ধন্যবাদ জানিয়ে, তেজপুরের ডায়োসিস, তার চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে অর্থটি ধর্ম প্রচার (খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তর) এবং বিশ্বাস গঠনের জন্য ব্যবহার করা হবে। তেজপুরের ডায়োসিস আরও উল্লেখ করেছে যে মহামারী বিধিনিষেধের সময়, তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সামাজিক কাজের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করবে।
আরও পড়ুন: এনআইআরএফ তালিকায় দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি মাদ্রাজ, সেরা কলেজ মিরান্ডা হাউজ
উল্লেখ্য, অসমে মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সিদের সংখ্যালঘু পরিচয়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার। অসমই প্রথম রাজ্য যারা ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে সংশাপত্র দেওয়ার পথে এগতে চলেছে। সেখানেই ধর্মান্তকরণের এই প্রয়াস সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফেডারেশন একে ধর্মীয় আগ্রাসন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ব্যাপটিস্ট এবং ক্যাথলিকরা আসাম এবং উত্তর পূর্বে সমানভাবে ধর্মান্তরিতকরণে জড়িত। তিনি রাজ্য সরকারকে ধর্মীয় কথোপকথনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনার আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিত বলেও দাবি তোলে সংগঠনটি।
+ There are no comments
Add yours