Sukanta on Anubrata: ‘‘অনুব্রত ওয়েব সিরিজের সবে প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড বেরিয়েছে…’’, খোঁচা সুকান্তর

‘‘তৃণমূল ‘বিষাক্ত দল’, নেতারা ডাকাতের থেকেও বড় অপরাধী...’’, তোপ বিজেপি রাজ্য সভাপতির
anubrata-sukanta
anubrata-sukanta

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) যে সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, সেটা ওয়েব সিরিজের প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড। পরেরটা ক্রমশ প্রকাশ্য। অনুব্রতের চালকল, তার ভিতর বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ পাওয়া প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর কটাক্ষ, "অনুব্রত মণ্ডল অনেক বড় নেতা। সুতরাং ওনার ওয়েব সিরিজ অনেক লম্বা হবে। এখনও পর্যন্ত যেটা আপনারা দেখেছেন সেটা ওয়েব সিরিজের প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড। এরকম প্রচুর সম্পত্তি পাওয়া যাবে।"

শনিবার উলুবেড়িয়ার (Uluberia) রঘুদেবপুরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন সুকান্ত। পদযাত্রাতেও সামিল হন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "সাধারণ ব্যবসায়ীদের মুখ থেকে যে সব গল্প শুনেছি তাতে তোলাবাজি হয় তা জানতাম। কোটিতে তোলাবাজি হয়, দামী দামী গাড়ি তোলাবাজি করে নিয়ে নেওয়া হয় শুধুমাত্র মাদক কেসের ভয় দেখিয়ে তা আমরা ভাবতেই পারছি না। বাংলার কী অবস্থা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক একজন নেতা ডাকাতের থেকেও বড় অপরাধী হয়ে গিয়েছে।" তৃণমূলকে বিষাক্ত দল অ্যাখ্যা দিয়ে সুকান্ত আরও বলেন, "এইভাবে এই দলের নেতারা মানুষকে দিনের পর দিন শোষণ করে গেছেন। সমাজের বিষ তাঁরা। তাঁদের থেকে সমাজকে বাঁচানো একান্ত প্রয়োজন। তৃণমূল দলটাই আমাদের সমাজে পলিটিক্যাল পয়জন হয়ে গেছে। এই বিষকে পলিটিক্যাল সিস্টেম থেকে বের করে দেওয়া উচিত। না হলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিবেশ, পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য কোনওটাই বাঁচবে না।”

আরও পড়ুন: আরও ৪ দিন সিবিআই হেফাজতে কেষ্ট মণ্ডল, আবার শুনতে হল ‘গরু চোর’ স্লোগানও!

অনুব্রতকে এদিন ফের আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়।  তিনি সিবিআইকে (CBI) তদন্তে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছেন এমনটাই আদালতে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এ প্রসঙ্গে অনুব্রতকে 'চোর' কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "চোর কোনও দিন নিজে বলে নাকি যে আমি চুরি করেছি। চোর তো ভালো কথাই বলবে। এইরকম আরও প্রচুর সম্পত্তি পাওয়া যাবে। উনি সহযোগিতা করবেন না। চোর কোনওদিনও পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করে না। এটাই স্বাভাবিক। সোজা আঙুলে যদি ঘি না ওঠে তা হলে আঙুল বাঁকা করতে হবে ঘি ওঠানোর জন্য। তবেই সব ঠিক হয়ে যাবে।" 

মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, "বাংলার মানুষের কাছে এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। দুদিন আগে আমি যখন বোলপুরে ছিলাম সেখানকার সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস বারবার প্রমাণ করেছে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একজন চোরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মানুষ সেটাকে ভালোভাবে নেয়নি।"

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles