Pavan Varma Quits TMC: যশবন্তের পর এবার তৃণমূল ছাড়লেন পবন ভার্মা, এবার কি কীর্তি?

TMC: সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না ঘাসফুল শিবিরের...
pawan_verma
pawan_verma

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না তৃণমূলের (TMC)। দুই নেতার শ্রীঘরে ঢোকার পর এবার আরেকটা ধাক্কা খেলেন মমতা। গত এপ্রিল মাসে তৃণমূল ছেড়েছিলেন দলের জাতীয়স্তরের নেতা অশোক তানোয়ার (Ashok Tanwar)। সম্প্রতি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Elections) পরাজিত হওয়ার পর তৃণমূলে ফিরবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি যশবন্ত সিন‍্‍হা (Yashwant Sinha)। এবার, দলত্যাগ করলেন তৃণমূলের আরেক জাতীয়স্তরের নেতা পবন ভার্মা (Pawan Verma Quits TMC)। 

জেডিইউয়ের (JD-U) এই প্রাক্তন সাংসদ গত বছর শেষের দিকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কয়েক মাসের ব্যবধানেই দল ছাড়লেন তিনি৷ শুক্রবার ট্যুইট করে তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন পবন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, ‘সম্মানীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অনুগ্রহ করে তৃণমূল থেকে আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করুন। আমাকে স্বাগত জানানো, আপনার স্নেহ ও সৌজন্যের জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আপনাকে শুভকামনা এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’ 

আরও পড়ুন: এক এক করে আপনাদের হাতও ছাড়বেন মমতা, কার উদ্দেশ্যে বললেন মালব্য?

পবন ভার্মা ভুটানে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। পরবর্তীতে রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন। প্রথমে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) উপদেষ্টার পদে ছিলেন। পরে জেডিইউয়ের টিকিটেই রাজ্যসভার সাংসদ হন। জনতা দল ইউনাইটেডের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। দলের মুখপাত্রের ভূমিকাতেও দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নীতীশের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ হয়৷ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে জনতা দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেইসময় তাঁর বিরুদ্ধে ‘দলের নিয়ম’ পালন না করার জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল।

 

 

গত বছর নভেম্বরে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য তৃণমূল সরকার গঠন করার পর প্রশান্ত কিশোরের উদ্যোগে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন পবন ভার্মা সহ হিন্দি বলয়ের তিন নেতা। পবন ছাড়াও আরও দুই প্রাক্তন সাংসদ অশোক তানোয়ার ও কীর্তি আজাদও তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তবে সুসময় বেশিদিন টিকল না। এপ্রিলেই তৃণমূল ছেড়েছিলেন অশোক। গত কয়েকমাসে পবনকেও সেভাবে সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি৷ এবার তিনিও দল ছাড়লেন। এখনও তৃণমূলে রয়েছেন কীর্তি আজাদ। এই পরিস্থিতিতে, রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন, এবার কি তাহলে কীর্তির পালা? 

আরও পড়ুন: সিবিআই অনুব্রতকে নিয়ে যেতেই একে একে মুখ খুলছেন স্থানীয়রা, কী বলছেন তাঁরা?

পাশাপাশি, ত্রিপুরা তৃণমূলেও ধরেছে ভাঙন। সেখানেও তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে একঝাঁক নেতা-কর্মী জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের হাত ধরে কংগ্রেসে ফিরলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বাপ্টু চক্রবর্তী। তিনি জানান, পুর-নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোট ১২ জন প্রার্থী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles