Rishi Sunak: অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী মানতে পারল না ব্রিটেন! জানেন কেন হারতে হল ঋষিকে?

দেশের মূল ধর্ম খ্রিস্টান সেখানে একজন হিন্দু নেতাকে দেশের সর্বোচ্চ পদে বসাতে হয়ত কুণ্ঠা বোধ করেছেন ব্রিটেনের শাসক রক্ষণশীল দলের নেতারা।
Rishi_Sunak__
Rishi_Sunak__

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর দিনে রাধা-কৃষ্ণের আরাধনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হিন্দু রীতি মেনে পুজোয় অংশ নিয়েছিলেন। আরতি করেছিলেন। মেনে নিতে পারেনি 'রক্ষণশীল' ব্রিটেন। যে দেশের মূল ধর্ম খ্রিস্টান সেখানে একজন হিন্দু নেতাকে দেশের সর্বোচ্চ পদে বসাতে হয়ত কুণ্ঠা বোধ করেছেন ব্রিটেনের শাসক রক্ষণশীল দলের নেতারা। তাই আশা জাগিয়েও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (Britain PM) পদে জিততে পারলেন না ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। প্রথম থেকে জোরদার লড়াই করেও শেষ হাসি হাসতে পারলেন না ঋষি। কনজারভেটিভ দলের নেতারা ভরসা রাখলেন ব্রিটিশ নেত্রী লিজ ট্রাসের উপর।

কনজারভেটিভ পার্টির (Tori) তরফে ভোটের ফল ঘোষণা করে জানানো হয় ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন লিজ। মোট বৈধ ভোটের মধ্যে লিজ পেয়েছেন ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট। সুনক ৬০ হাজার ৩৯৯টি। চূড়ান্ত রাউন্ডে ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষির পরাজয়ের কারণ হিসেবে উঠে আসছে তাঁর ‘বর্ণ-পরিচয়ের’ কথাও। এখনও পর্যন্ত কোনও অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী হননি। যে দেড় লক্ষাধিক কনজারভেটিভ সদস্যের ভোটে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে, তাতে অশ্বেতাঙ্গ ভোটার নগণ্য। তিন শতাংশেরও কম।

আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! লন্ডন থেকে চুরি হওয়া গাড়ি পৌঁছে গেল পাকিস্তানের করাচিতে! ভাইরাল ভিডিও

রাজনৈতিক মহল মনে করছে ঋষির হারের পিছনে স্ত্রী অক্ষতার ভূমিকাও রয়েছে। একদিকে বিপুল সম্পত্তি, তো অন্যদিকে আয়কর ফাঁকি, আবার রাশিয়ার সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের জেরে তদন্তের আওতায় চলে আসেন পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার অক্ষতা। পেশার কারণে অন্যান্য দেশ থেকে ব্রিটেনে আসা নাগরিকদের বিশেষ কর দিতে হয়। সুনকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে সেই কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। তিনি নাকি প্রভাব খাটিয়ে সেই করের আওতার বাইরে চলে আসেন। বলা হয়ে থাকে, অক্ষতার সম্পত্তি নাকি ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের চেয়েও বেশি। একদা ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারকারী ব্রিটেনবাসী এ সত্য মেনে নিতে পারে না। কোনও ভারতীয় তাঁদের থেকে বড় হতে পারেন হয়ত বা এই কথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছিল রক্ষণশীল দলের সদস্যদের। তাই প্রথম থেকে এগিয়ে থেকেও মাইলস্টোন ছোঁয়া হল না ঋষির।

তা ছাড়া একদা জনসন অনুগামী ঋষি যে ভাবে পরবর্তী কালে প্রকাশ্যে তাঁর বিরোধিতা করে ইস্তফা দিয়েছিলেন, ভোটে তারও প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণ টোরি সদস্যদের বড় অংশই জনসন অনুগামী। তাঁদের একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন লিজ।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles