মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিটেল জায়ান্ট অ্যামাজনকে সিট বেল্ট অ্যালার্ম (Seat Belt Alarm) অচল করার ডিজাইস বন্ধ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র সরকার। সম্প্রতি একথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)। তিনি বলেন, "লোকেরা সিটবেল্ট পরা এড়াতে অ্যামাজন থেকে ক্লিপ কিনে নেয়। আমরা অ্যামাজনকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছি এগুলি বিক্রি বন্ধ করার জন্য।"
এখন অবধি এই ধাতব ক্লিপগুলি বিক্রি করা বেআইনি নয়। কিন্তু সম্প্রতি টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়্যারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির (Cyrus Mistry) মৃত্যুর এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বদল আসতে পারে আইনে। পিছনের সিটে বসে থাকা সাইরাস মিস্ত্রি এবং জাহাঙ্গির পান্ডোলে গাড়ির সিট বেল্ট পরেছিলেন না। দ্রুত গতিতে চলছিল গাড়িটি। ডিভাইডারে ধাক্কা লাগায় অত্যন্ত ঝাঁকুনিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের। বিজনেস টাইকুনের দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ট্রাফিক রুলে আসতে চলছে আরও কড়াকড়ি।
আরও পড়ুন: গাড়ির পিছনের সিটে বসা যাত্রীদেরও সিট বেল্ট লাগাতে হবে, নইলে জরিমানা, কড়াকড়ি কেন্দ্রের
নিতিন গড়কড়ি এদিন আরও বলেন, "গাড়ি নির্মাতাদের জন্যে সিট বেল্ট অ্যালার্ম গাড়িতে তৈরি করা বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা চলছে।" এখন শুধুমাত্র সামনের সিটে বসা যাত্রীদের জন্যেই সিট বেল্ট পরা বাধ্যতামূলক। যদিও পিছনের সিটের যাত্রীরা সিট বেল্ট না পরেন তাদের সেন্ট্রাল মোটর ভেইকেলস রুলস (CMVR)- এর নিয়মে ১৩৮ (৩) এর অধীনে ১০০০ জরিমানা করা যেতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই সেই নিয়ম জানেন না। বা জানলেও তা উপেক্ষা করে যান। এমনকি ট্রাফিক পুলিশরাও পিছনের সিটে বসা যাত্রীরা সিট বেল্ট না পরলে জরিমানা করেন না।
প্রসঙ্গত, গাড়িতে সামনের সিট বেল্টের সঙ্গে একটি সেন্সর যুক্ত থাকে। যতক্ষণ না সিটবেল্ট পরা হচ্ছে, গাড়িতে একটি অ্যালার্ট বাজে। তাতেই বিরক্ত হন চালক ও যাত্রীরা। তাই সিটবেল্ট পরা এড়াতে বাজারে বিশেষ ধরণের ক্লিপ পাওয়া যায়। সেটা অনেকেই লাগিয়ে নেন। যাতে সেন্সর বন্ধ থাকে। পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র সিট বেল্ট না বাঁধার কারণে ২০২০ সালে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫ হাজার ১৪৬ জনের। আহত হন ৩৯ হাজার ১০২ জন।
আরও পড়ুন: ত্রুটিপূর্ণ সেতু সাইরাসের মৃত্যুর অন্যতম কারণ, বলছে ফরেন্সিক রিপোর্ট
নিতিন গড়কড়ি এবিষয়ে বলেন, "২০২৪ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা এবং এর সাথে সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেক করার লক্ষ্য রাখছে কেন্দ্র। এছাড়াও সরকার এই বছর সমস্ত গাড়িতে ছয়টি এয়ারব্যাগ বাধ্যতামূলক করে একটি নির্দেশিকা জারি করবে।"
কিছুদিন আগেই নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, "সাধারণ মানুষের কথা ছেড়েই দিন। আমি চারজন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে চড়েছি, নাম জিজ্ঞেস করবেন না। আমি গিয়ে সামনের সিটে বসলাম। দেখলাম, একটি ক্লিপ এমনভাবে লাগানো, যাতে বেল্ট না পরলেও কোনও শব্দ না হয়। আমি তবুও চালককে বেল্ট কোথায় তা জিজ্ঞেস করে পরে নিয়েছিলাম।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours