মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: ইরানে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে হিজাব বিরোধী প্রতিরোধ (Iran Anti Hijab Protest)। হিজাব নিয়ে নীতি পুলিশির (Moral Policing) জেরে ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় উত্তর-পশ্চিম ইরানের বাসিন্দা বছর ২২-র মাসা আমিনির। তাঁর মৃত্যুর পরই ইরান জুড়ে হিজাব নিয়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরার আইন বাতিলের দাবিতে তেহেরানের রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪১ জন আন্দোলনকারীর। গণহত্যার প্রতিবাদের বিভিন্ন পন্থা নিয়েছেন মানুষ। এবার দাদার মৃত্যুর প্রতিবাদে দাদার কফিনে চুল কেটে প্রতিবাদ জানালেন বোন (Woman cuts off her hair)।
আরও পড়ুন: হিজাব না পরায় গ্রেফতার, পরে মৃত্যু তরুণীর, প্রতিবাদে উত্তাল ইরান
জাভেদ হায়েদারী নামের ওই ব্যক্তির আন্দোলন করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শেষ কৃত্যে কফিনে চুল কেটে প্রতিবাদ জানালেন তাঁর বোন। ফুল দিয়ে সাজানো কবরে নিজের কাটা চুল রাখলেন সবার ওপরে। রাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভের বার্তা দিয়েছে তরুণীর এই বিরল প্রতিবাদ।
Javad Heydari's sister, who is one of the victims of protests against the murder of #Mahsa_Amini, cuts her hair at her brother's funeral.#IranRevolution #مهسا_امینیpic.twitter.com/6PJ21FECWg
— 1500tasvir_en (@1500tasvir_en) September 25, 2022
হিজাব আন্দোলনে প্রশাসনিক নৃশংসতা বেড়েই চলেছে। আন্দোলনে প্রথম সারিতে থাকা বছর ২০-র এক ইরানি তরুণীকে এবার গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল এক 'কুখ্যাত' নিরাপত্তা রক্ষী। রবিবার রাতে ইরানের কারাজ এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সেই তরুণী। সূত্রের খবর, ওই তরুণীর বুকে, মুখে এবং গলায় গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।এর আগেও হিজাব বিরোধী আন্দোলনে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’-এর মাধ্যমে ইরানে চিহ্নিত করা হবে হিজাব উপেক্ষা করা মহিলাদের
‘হিজাব নয়, স্বাধীনতা ও সাম্য চাই’ – এখন ইরানের রাস্তায় শোনা যাচ্ছে এই শ্লোগান। এবার আন্দোলনকে সংগঠিত রাখতে গত শতাব্দীর ইটালীয় লোকসংগীতকে অস্ত্র করেছেন প্রতিবাদীরা। ইরানের রাস্তায় শোনা যাচ্ছে ‘বেলা চাও, বেলা চাও’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ফ্যাসিবাদ বিরোধী লোকসংগীতগুলির মধ্যে ইটালিতে অন্যতম জনপ্রিয় গান ছিল এটি। শব্দবন্ধটির অর্থ ‘বিদায় সুন্দরী’। অন্যান্য প্রতিবাদের সঙ্গে এই গানকেও এখন হাতিয়ার করছেন ইরানের প্রতিবাদীরা।
+ There are no comments
Add yours