Mohan Bhagwat: হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব! জানেন দশেরার অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কী বললেন মোহন ভাগবত?

শিশুদের শুধু চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, বরং ভালো সংষ্কার এবং উন্নত মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষা গ্রহন করতে হবে
mohan
mohan

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশেরার অনুষ্ঠানে নাগপুরে আরও একবার ‘অখণ্ড ভারত’ ও ‘হিন্দুরাষ্ট্রের’ কথা শোনা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের  (Rashtriya Swayamsevak Sangh) প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat)।   গলায়। বুধবারের অনুষ্ঠানে সংঘ প্রধান বলেন, “হিন্দু রাষ্ট্রের কথা সর্বত্র আলোচনা করা হয়। অনেকে এর সঙ্গে সহমত। অনেকে আবার এর বিরোধিতা করেন। হিন্দু শব্দটি নিয়েও অনেকের আপত্তি রয়েছে। কেউ যদি হিন্দু শব্দের পরিবর্তে সমার্থক অন্য শব্দ ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে ধারণার স্বচ্ছতার জন্য আমরা আগেও যেমন হিন্দু শব্দের ওপর জোর দিয়েছি, এখনও হিন্দু শব্দের ওপর জোর দেব।”

আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্রপিতা’ আখ্যা ভারতীয় ইমাম সংগঠনের

সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়েও এদিন সরব হন মোহন ভাগবত। তিনি বলেন, "সাম্প্রদায়িক হিংসা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ স্বাধীন ভারতেও পুরোদমে চলছে। এই সমস্ত মানুষরা নিজেদের স্বার্থের জন্য আমাদের কাছে আসে। এদের বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। সংঘ কোনওদিন অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়াতে বলে না।" এদিন সংঘ প্রধান সমাজে ঐক্যের কথাও তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে সবাইকে জেগে উঠতে হবে। তিনি দাবি করেন, শিশুদের শুধু চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, বরং ভালো সংষ্কার এবং উন্নত মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। তিনি বলেন,"সাধারণ মানুষের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, ভালো কেরিয়ারের জন্য ইংরেজি জানা প্রয়োজন। তবে এটা একটা মিথের বাইরে কিছু নয়।"

আরও পড়ুন: ‘‘রোজগার মানে কেবলমাত্র চাকরি নয়...’’, নাগপুরে মোহন ভাগবত

এদিন বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের অবস্থান নিয়েও কথা বলেন ভাগবত। শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট, ইউক্রেন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ টেনে আনেন সংঘ প্রধান। তিনি বলেন,"বিশ্বে আমাদের মর্যাদা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়েছে। আমরা শ্রীলঙ্কাকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছি। ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাতে ভারতের মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে শোনা হচ্ছে।" মোহন ভাগবত বলেছেন, করোনায় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়েছে। কিন্তু ভারত সেই প্রভাব বর্তমানে কাটিয়ে উঠেছে। বিশ্বের বিভিন্ন অর্থনীতিবিদরা ভবিষ্যদ্বানী করেছেন, ভারতের অর্থনীতির আরও উন্নতি হবে। ভারত বর্তমানে ব্রিটেনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে ভারতের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। খেলোয়াড়রা দেশকে গর্বিত করেছে।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles