Poll Panel: শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, জানাতে হবে অর্থ কোথা থেকে আসবে! জানেন কী বললেন নির্বাচন কমিশন

নির্বাচন কমিশন যদি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও ভর্তুকি মামলায় কড়া আইন আনে, তাহলে সেগুলি বন্ধ হবে। জনগণ পুরো বিষয়টি জানতে পারবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
election-commision
election-commision

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন এলেই প্রতিশ্রুতির প্যান্ডোরা বাক্স খুলে জনসভা মাতিয়ে তোলেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। কিন্তু ভোট ফুরোলেই ভোকাট্টা। পরে অনেক কিছুই আর বাস্তবায়িত হয় না। এবার তাই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ELECTION COMMISSION)। রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচন কমিশন লিখেছে, ভোটারদের শুধু প্রতিশ্রুতি দিলে হবে না, জানাতে হবে তা পূরণের জন্য অর্থ সংস্থান কীভাবে হবে। দলগুলিকে স্পষ্ট করতে হবে, তারা কত টাকা ভর্তুকি কোন খাতে দেবে। যদি কৃষি ঋণ মকুবের ব্যাপার হয়, তবে কি এতে সমস্ত কৃষকরা উপকৃত হবেন, নাকি শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের সুবিধা দেওয়া হবে সেগুলো স্পষ্ট করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে উল্লেখ করতে হবে। দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য অর্থ কোথা থেকে আসবে, সেটাও জানাতে হবে। যদি এটা রাজ্য এবং কেন্দ্রের যৌথ বিষয় হয়, তবে প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য গোটা খরচটা কি যৌথভাবেই বহন করা হবে,  নাকি রাজ্য বা কেন্দ্র পৃথকভাবে বহন করবে, সেসবও বিস্তারিত জানাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। কারণ, অনেক রাজ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিকে ঘুরিয়ে নিজেদের বলে চালানোর চেষ্টা করে। গত কয়েক বছরে এই ট্রেন্ড চলছে। নির্বাচন কমিশন যদি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও ভর্তুকি মামলায় কড়া আইন আনে, তাহলে সেগুলি বন্ধ হবে। জনগণ পুরো বিষয়টি জানতে পারবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন: আজানের সুর! ভাষণ থামালেন অমিত শাহ, মুগ্ধ উপত্যকাবাসী

এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী ইস্তোহর কিংবা প্রতিশ্রুতি কিংবা ভর্তুকি প্রদানের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছ্বতা প্রয়োজন। কারণ, ভোটারদের জানার অধিকার রয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলি যে সব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তার সারবত্তা কতটা। ভর্তুকি প্রদানের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যের ভূমিকা কতখানি। স্পষ্ট ছবি সামনে এলে ভোটাররা সহজেই বিচার করতে পারবে, কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিশ্রুতি ভালো, কোনটা খারাপ। তা প্রভাব ফেলবে নির্বাচনেও।

আপাতত বিষয়টি প্রস্তাব আকারেই রাজনৈতিক দলগুলির কাছে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তবে পরবর্তীকালে রাজনৈতিক দলগুলির এই ধরনের বক্তব্য যাতে আদর্শ আচরণবিধির আওতায় আসে, সেই ব্যবস্থা করতে চায় নির্বাচন কমিশন। তবে তার আগে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত জানা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles