Kerala Governor: “২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে…”, ৯ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নির্দেশ কেরল রাজ্যপালের

রবিবার তাঁর দফতরের তরফে একটি ট্যুইট করে পদত্যাগের কথা জানানো হয়েছে।
vhats1fuaawr6k3a_1626274738
vhats1fuaawr6k3a_1626274738

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে কেরলের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান (Kerala Governor)। রবিবার তাঁর দফতরের তরফে একটি ট্যুইট করে পদত্যাগের কথা জানানো হয়। ট্যুইটে লেখা হয়েছে, দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের রায় বহাল রেখে রাজ্যপাল শ্রী আরিফ মহম্মদ খান ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরকে সরাসরি এই নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও ট্যুইটারে দিয়েছে রাজভবন। গতকাল জানানো হয়েছিল, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভাইস-চ্যান্সেলরদের পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। অন্যদিকে এই নির্দেশকে অমান্য করার পরামর্শ দিয়েছেন কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার।  

রাজভবন সূত্রের দাবি, ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম মেনে হয়নি। তাই সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে তাঁদের ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তাঁর এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে রাজভবন ঘেরাও অভিযানের কর্মসূচি নিয়েছে শাসক ফ্রন্ট এলডিএফ। রাজ্যপালের (Kerala Governor) বিরুদ্ধে গিয়ে শাসক দল এলডিএফ-এর তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, সমস্ত ভাইস-চ্যান্সেলরকে নিজেদের পদে থাকতে এবং গভর্নরের আদেশ অমান্য করতে।

রাজ্যপাল (Kerala Governor) যে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরকে পদত্যাগ করতে বলেছেন, তাঁদের মধ্যে কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভিপি মহাদেবন পিল্লাইয়ের আগামী ২৪ অক্টোবর অবসর নেওয়ার কথা। অন্যদিকে, এপিজে আব্দুল কালাম টেকনোলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমএস রাজশ্রীর নিয়োগ বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, শীর্ষ আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল,  ভাইস-চ্যান্সেলর পদের জন্য যথাযথভাবে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়নি। প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য চ্যান্সেলারের কাছে কেবলমাত্র একটিই নাম ছিল, যা ইউজিসি-র নিয়মবিরুদ্ধ। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩ জনের নাম লাগে।

কেরালা বিশ্ববিদ্যালয় ও এপিজে আব্দুল কালাম টেকনোলজিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি মহাত্মা গান্ধী ইউনিভার্সিটি, কোচিন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, কেরালা ইউনিভার্সিটি অফ ফিশারিজ অ্যান্ড ওশান স্টাডিজ, কান্নুর ইউনিভার্সিটি, শ্রী শঙ্করাচার্য ইউনিভার্সিটি অফ সংস্কৃত, কালিকট ইউনিভার্সিটি এবং থুনচথ এজুথাচান মালয়ালম ইউনিভার্সিটির অন্যান্য উপাচার্যদেরও পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের (Kerala Governor) নির্দেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপীনাথ রবীন্দ্রন। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘‘আমি পদত্যাগ করব না। দেখি ওরা কী ব্যবস্থা নেয়!’’ সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বর রাজভবনের সামনে এবং জেলা কেন্দ্রগুলিতে বিক্ষোভের আয়োজন করা হবে।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles