মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Bengal Panchayat Polls) হোক কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Forces) উপস্থিতিতে। রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police) দিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা হলে আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)। একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) গলাতেও। সম্ভবত আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তার প্রস্তুতিও। তার আগেই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলল পদ্ম শিবির।
আরও পড়ুন: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চার্জশিট সিবিআইয়ের! জানেন তালিকায় রয়েছেন কারা?
শুভেন্দু বলেন, "পঞ্চায়েত ভোট যদি রাজ্য পুলিশ দিয়ে করার উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে আমরা তার প্রতিবাদ করব। আদালতে দ্বারস্থও হব। বিগত পুর নির্বাচনগুলোতে রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করিয়ে কী হয়েছে তা সবাই দেখেছে। বিষয়টি আদালতেরও নজরে রয়েছে। পুরসভার ভোটে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুঠ করে ক্ষমতায় এসেছে। তাই আমাদের দাবি,কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানেই শান্তিপূর্ণ ও অবাধ পঞ্চায়েত ভোট করা হোক।" এর আগে একই দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, "সব বুথে লড়াই হবে। আদালতে লড়াই হবে। রাজনীতির ময়দানেও লড়াই হবে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার যা পরিস্থিতি তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া বাংলায় কোনও ভোট হওয়াই উচিৎ নয়। ফলাফল ফ্যাক্টর নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অশান্তি ও হিংসা আটকানোর লক্ষ্যেই পঞ্চায়েত ভোটে সেন্ট্রাল ফোর্সের প্রয়োজন রয়েছে।"
আরও পড়ুন:উপলক্ষ কালীপুজো, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, লেক কালী বাড়িতে ভক্ত সমাগম
সুকান্ত ও শুভেন্দুর সঙ্গে সহমত জানিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও বলেন, "এ রাজ্যে কোনও নির্বাচনই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে দেয় না শাসকদল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অবাধ নির্বাচন হলে তৃণমূল জিততে পারবে না। তাই আমাদের দাবি, আগামী পঞ্চায়েত ভোট রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই করানোর ব্যবস্থা করা হোক।" বেশ কিছু ক্ষেত্রে মতের অমিল থাকলেও এ বিষয়ে একমত রাজ্য বিজেপির অন্যতম তিন নেতা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours