মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বাজারে সারের দামে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে রবি ফসলের মরশুমে কৃষকদের জন্য সারে ভর্তুকির পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। রবি মরশুমে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ এবং সালফার সারে ভর্তুকির জন্য ৫১, ৮৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় রাসায়নিক এবং সার মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandaviya) একথা ঘোষণা করেছেন।
বাজেটে ২১ হাজার কোটির ভর্তুকির কথা বলা হলেও, পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্তে তা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ববৈঠকের পরে তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, সারের দাম বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। যা সর্বকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। রবি মরশুমে ইউরিয়ার ভর্তুকির পরিমাণ ৮০ হাজার কোটি ধরে সবমিলিয়ে ১,৩৮,৮৭৫ কোটি টাকা। আর রবি এবং খরিফ মরশুম ধরে ভর্তুকির পরিমাণ ২.২৫ লক্ষ কোটি টাকা। মন্ত্রী জানিয়েছেন, গত বছরে এই ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ১.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভর্তুকি ছাড়া এক ব্যাগ ফসফেট সারের দাম ২৬৫০ টাকা। যা ভর্তুকির পরে দাঁড়াচ্ছে ১৩৫০ কোটি টাকা। অন্যদিকে ইউরিয়ায় ব্যাগ প্রতি ভর্তুকির পরিমাণ প্রায় ২৪০০ টাকা। যেখানে একব্যাগ ইউরিয়ার দাম ২৭০০ টাকা, সেখানে তা কৃষকরা পাচ্ছেন ২৬৬ টাকায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশে ইউরিয়ার উৎপাদন বাড়ানোর ব্যাপারে পরিকল্পনা নিয়েছে। যেখানে দেশে ইউরিয়ার চাহিদা ৩৫০ লক্ষ মেট্রিক টন, সেখানে দেশে উৎপাদিত ইউরিয়ার পরিমাণ ২৫০ লক্ষ মেট্রিক টন। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এব্যাপারে চারটি নতুন প্ল্যান্ট কাজ শুরু করবে। তিনি কৃষকদের আশ্বস্ত করে বলেন, "দেশে প্রচুর পরিমাণে সার মজুত রয়েছে।"
এ বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভর্তুকি বৃদ্ধির ফলে সার কৃষকদের কাছে আরও সহজলভ্য হবে রবি মরশুমে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম ও কাঁচামাল নিয়ে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে সেই বিষয়টির দায়িত্বও কেন্দ্র নেবে বলে এদিন আশ্বস্ত করছে।
কেন্দ্রীয় সারমন্ত্রী বলেছেন, "রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে রাসায়নিকের দাম এখন দ্বিগুণ। এছাড়াও রয়েছে মহামারী। সেই কারণে কেন্দ্রের তরফে ভর্তুকির পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়েছে। কেন্দ্র ভেবে দেখেছে সারের দাম বৃদ্ধির কারণে তা কৃষকদের বোঝার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। সেই কারণে কেন্দ্রের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে পরের ছয়মাসে কৃষকরা সারের দাম বৃদ্ধিজনিত কোনও সমস্যায় না পড়েন।"
কেন্দ্রীয় সারমন্ত্রী বলেছেন, "রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে রাসায়নিকের দাম এখন দ্বিগুণ। এছাড়াও রয়েছে মহামারী। সেই কারণে কেন্দ্রের তরফে ভর্তুকির পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়েছে। কেন্দ্র ভেবে দেখেছে সারের দাম বৃদ্ধির কারণে তা কৃষকদের বোঝার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। সেই কারণে কেন্দ্রের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে পরের ছয়মাসে কৃষকরা সারের দাম বৃদ্ধিজনিত কোনও সমস্যায় না পড়েন।"
+ There are no comments
Add yours