মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হওয়ার কিছুদিন আগেই বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) লটারিতে এক কোটি টাকা জেতার খবর সামনে এসেছিল। অন্তত লটারি সংস্থার বিজ্ঞাপনে এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে লটারি বিক্রেতার (Lottery Seller) সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বোলপুরে সিবিআই- এর অস্থায়ী ক্যাম্পে (CBI Camp) তলব করা হয় লটারি বিক্রেতা মুন্না শেখকে। সেখানে এক ঘণ্টা কাটিয়ে বেরিয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করলেন মুন্না। মুন্না সাংবাদিকদের জানান, কেষ্ট মণ্ডলকে টিকিটই বিক্রি করেননি তিনি।
‘রাহুল লটারি এজেন্সি’ থেকে লটারির টিকিট কিনেছিলেন এক টিকিট বিক্রেতা। সেই বিক্রেতার থেকে লটারি কেনেন মুন্না। তাঁর বিক্রি করা একটি টিকিটেই এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ক্রেতা। বিজ্ঞাপনে নাম ছিল অনুব্রতর। বিক্রেতার এই বয়ানে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কালো টাকা সাদা করার কারাবার চলত সেখানে?
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূম থেকে ৫ তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার
অনুব্রতর লটারি জেতা নিয়ে কয়েক দিন আগেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তদন্তে নেমে শুক্রবার ওই লটারি বিক্রেতার দোকানে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পর লটারি বিক্রির নথি নিয়ে শুক্রবার বোলপুরে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে যান লটারির টিকিট বিক্রেতা এবং তাঁর দোকানের কর্মীরা। সেখানেই লটারি বিক্রেতা অনুব্রতকে টিকিট বিক্রি করেননি বলে জানান।
লটারির টিকিট কেটে ভাগ্য বদল হয়েছে বহু মানুষের। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। তবে সাম্প্রতিক কালে লটারি বিজয়ীদের তালিকায় নাম উঠে আসছে অনেক হেভি ওয়েটদের। কোটি কোটি টাকা জেতার খবর সামনে আসছে। এটা কি শুধুই কাকতালীয় ঘটনা? নাকি কালো টাকা সাদা করতে এই পন্থা অবলম্বন? টাকার বিনিময়ে আসল লটারি জয়ীর কাছ থেকে টিকিট নিয়ে আয়োজকদের কাছ থেকে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হচ্ছে! সেটাই খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
+ There are no comments
Add yours