মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশ ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ বেড়েই চলেছে। তবে এবারে আরও উদ্বেগজনক তথ্য নাইসেডের (National Institute of Cholera and Enteric Diseases/NICED) রিপোর্টে উঠে এসেছে। রাজ্যে ডেঙ্গির দুরকম ভ্যারিয়েন্ট দেখা গিয়েছে (Dengue New Variant)। যা সাধারণ ডেঙ্গির থেকে বেশি বিপজ্জনক বলে জানা গিয়েছে। নাইসেডের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুহূর্তে রাজ্যে হানা দিয়েছে ডেঙ্গির নতুন দুটি প্রজাতি, 'ডেঙ্গি-২' বা 'ডেঙ্গ-২' (DENG-2) এবং 'ডেঙ্গি ৩'-এর (DENG-3) সেরো টাইপ।
নাইসেড সূত্রে খবর, প্রত্যেক মাসে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে ৪০০টি করে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়। সেই নমুনা বিশ্লেষণ করেই দেখা গিয়েছে, অক্টোবরে ৬০ শতাংশ রক্তের নমুনাতে ডেঙ্গি ৩-এর সেরো টাইপ পাওয়া গিয়েছে। আর ডেঙ্গি-২-এর সেরো টাইপ ধরা পড়েছে ৪০ শতাংশ। আবার গত সেপ্টেম্বর মাসে, যে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে, তাতে ডেঙ্গি-৩-এর সেরো টাইপ দেখা গিয়েছে ৩৭ শতাংশ। পাশাপাশি ডেঙ্গি ২-এর সেরো টাইপ ছিল ২৭ শতাংশ। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ডেঙ্গির দুই ভ্যারিয়েন্ট ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে (Dengue New Variant)। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গি টাইপ ৩-এর তুলনায় ডেঙ্গি টাইপ ২ মানুষের দেহের পক্ষে আরও বেশি ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ, এর থেকে রেহাই পেতে কী করবেন ও কী করবেন না?
আর এই প্রজাতির ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গও (Dengue New Variant) সাধারণ ডেঙ্গির তুলনায় আলাদা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই দুই ডেঙ্গির ভ্যারিয়েন্টে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও, ফের হঠাৎ কমে যাচ্ছে প্লেটলেটের সংখ্যা। মূলত উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিতে কিছু সংখ্যক রোগীর মধ্যে বর্তমানে ডেঙ্গ-২-এর উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, ডেঙ্গির এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে রোগীদের প্রথম দুই দিন জ্বর থাকছে। তৃতীয় দিন থেকে কমতে শুরু করছে জ্বর। এরপর রোগী যখন সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ করছেন, সেই সময়ই হঠাৎ প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে শুরু করছে। ফলে প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্ট।
সাধারণ ডেঙ্গি ও ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেঙ্গ-২-এর উপসর্গের মধ্যে পার্থক্য কী?
সাধারণ ডেঙ্গি হলে জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, মাথা ব্যথা, চোখের পিছনে, পেশি, হাঁটুতে ব্যথা, দুর্বল বোধ করা ও খিদে কমে যাওয়া, মাথাঘোরা, গলা ব্যথা, শরীরে র্যাশ বেরোনো ইত্যাদির মত উপসর্গ দেখা যায়। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডি-২ বা ডেঙ্গ-২-এর ক্ষেত্রে নাক ও মাড়ি থেকে রক্তপাত, বমির সঙ্গে রক্তপাত, গায়ে গাঢ় নীল বা কালো দাগ-এমন উপসর্গ দেখা যায়।
+ There are no comments
Add yours