মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মী (Basirhat Police Officer) প্রভাত সর্দার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা প্রভাত। মঙ্গলবার বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। আপাতত পুলিশকর্মী বিপদমুক্ত বলেই জানিয়েছে পরিবার।
উল্লেখ্য, সোমবার বসিরহাট (Basirhat Police Officer) তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারপর তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। অশান্তি চরমে উঠলে তা সামলাতে এলাকায় উপস্থিত হয় পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতেই আহত হন পুলিশ কর্মী প্রভাত সর্দার। ইতিমধ্যে ঘটনায় ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘরে আছে ছোট্ট মেয়ে
আহত পুলিশ কর্মী প্রভাত সর্দারের (Basirhat Police Officer) বাড়িতে রয়েছেন মা, স্ত্রী ও একটি ছোট্ট মেয়ে। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ভেঙে পড়েছেন পরিবার-পরিজনেরা। মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই পুলিশকর্মীর মা জানতে পারেন তাঁর ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে নরেন্দ্রপুরের বয়নালা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ২০০৭ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। চাকরি সূত্রে বসিরহাটে থাকতেন প্রভাত। আবার অনেক সময় বাড়ি থেকেই যাতায়াত করতেন। সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ ডিউটিতে যোগ দেবেন বলে বাইক নিয়ে বসিরহাট রওনা দেন তিনি। সেই রাতেই ঘটে এই ঘটনা।
আরও পড়ুন: রিহ্যাব থেকে ফিরেই গোটা পরিবারকে কুপিয়ে খুন করল মাদকাসক্ত যুবক
শাকচুড়া বাজারে তৃণমূলের ছাত্র নেতা আশরাফুজ্জামান বুলবুলকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ওই পুলিশকর্মী (Basirhat Police Officer)। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি কাঁধে লাগে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে আহত প্রভাতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়।
তৃণমূলের উদ্দেশ্যে বিজেপির কটাক্ষ
আহত পুলিশকর্মীকে (Basirhat Police Officer) দেখতে হাসপাতালে যান বিজেপির বারাসাত জেলা সাংগঠনিক সভাপতি তাপস মিত্র। তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, "গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন একজন অফিসার আহত হয়েছিলেন। বিজেপি নেতৃত্ব তাতে দুঃখ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সেইসময় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পিজি হাসপাতালে সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন উনি থাকলে বিজেপি কর্মীদের কপালে গুলি করতেন। যেভাবে গতকাল পুলিশ কর্মীকে গুলি করা হল, তাহলে এই ঘটনায় কি তৃণমূল কর্মীদের কপালে গুলি করবেন?" ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করেছে গেরুয়া শিবির।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours