মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শি জিনপিংকে (Xi Jinping) টেনে নামাও! চিনা কমিউনিস্ট পার্টিকে (China Communist Party) টেনে নামাও। রবিবার সকালে এমনই স্লোগান শোনা গেল চিনের (China) একটি শহরে বিক্ষোভকারীদের গলায়। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ফের লকডাউন (Lockdown) করা হয়েছে চিনের বিভিন্ন অংশে। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার উরুমকি শহরের এক আবাসনে আগুন লাগে। এই উরুমকি হল শিংজিয়াং এলাকার রাজধানী। এই বহুতলের একাংশ তালাবন্দি করে রাখায় আবাসনের বাইরে বেরতে পারেননি বাসিন্দারা। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে চিনের বিভিন্ন অংশে। তার পরেই লকডাউন তুলে নেওয়ার দাবিতেও শুরু হয় বিক্ষোভ।
বাড়ছে সংক্রমণ...
গোটা বিশ্বে করোনা অতিমারির বাড়বাড়ন্ত কমলেও, চিনে তা ধারণ করেছে ভয়াবহ আকার। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, দৈনিক সংক্রমণ এখন সর্বোচ্চ। বুধবার ৩১ হাজার ৪৫৪ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, অতিমারি পর্বে চিনে এটিই সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ।
上海乌鲁木齐路 民众高喊
— 李老师不是你老师 (@whyyoutouzhele) November 26, 2022
共产党 下台!
这是迄今为止最为激进的口号。 pic.twitter.com/ijP7lxnIgH
সম্প্রতি চিনের শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এবার দেশে কড়াকড়ি কমানো হবে। করোনা পরিস্থিতি চলায় এতদিন জিরো কোভিড পলিসি থেকে এতটুকুও সরেনি বেজিং। নিয়ম ভাঙলে কপালে জুটত শাস্তি। দিন কয়েক আগেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এবার কিছুটা লঘু করা হবে করোনা নীতি। কিন্তু সম্প্রতি ফের সংক্রমণ বাড়ায় ফের হয়েছে কড়া লকডাউন। বৃহস্পতিবার এক সঙ্গে দশজনের জীবন্ত দগ্ধ হওয়ার খবরে খেপে যান চিনাদের একাংশ।
আরও পড়ুন: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?
চিনের সব চেয়ে জনবহুল শহর সাংহাই। এটি দেশের ফাইনান্সিয়াল হাবও। শনিবার রাতে এই শহরের বাসিন্দারা এলাকায় বিভোক্ষ দেখান। বিক্ষোভ দেখানো হয় রবিবার সাত সকালেও। সম্প্রতি সেই বিক্ষোভের একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সমস্বরে বলতে শোনা যায়, উরুমকি থেকে লকডাউন তোল। শিনজিয়াং থেকে লকডাউন তোল। গোটা চিন থেকে লকডাউন তোল। এর পরেই উত্তেজিত জনতার একাংশকে বলতে শোনা যায়, টেনে নামাও শি জিনপিংকে (Xi Jinping)। টেনে নামাও চিনা কমিউনিস্ট পার্টিকে। উরুমকিকে মুক্ত কর। প্রসঙ্গত, এর আগে পার্টি কংগ্রেসের সময়ও শি জিনপিংকে একনায়ক বিশ্বাসঘাতক বলে দেগে দিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছিলেন চিনের বাসিন্দাদের একাংশ। এবার দাবি উঠল টেনে নামানোর।
গদি কি ক্রমেই নড়বড়ে হচ্ছে জিনপিংয়ের (Xi Jinping)?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours