মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যার রেশ এখনও কাটেনি। ফের এক মর্মান্তিক ঘটনার (Delhi Murder) সাক্ষী হল রাজধানী দিল্লি। মাদকে নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে রিহ্যাব কেন্দ্রে গিয়েছিল এক যুবক। বাড়ি ফেরার পরদিনই মাদকাশক্ত অবস্থায় গোটা পরিবারকে কুপিয়ে খুন করল সে। বাড়িতেই বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমাকে কুপিয়ে ও গলার নলি কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। খুন করার পর পালানোর চেষ্টা করলে আত্মীয়ারা যুবককে ধরে ফেলে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দেহগুলিকে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দেশের রাজধানী দিল্লিতে। জানা গিয়েছে অভিযুক্তের বয়স ২৫ বছর।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকায় ফের 'অসন্তুষ্ট' বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্ত যুবকের নাম কেশব। মাদকের নেশায় পড়াশোনা ভুলেছিল সে। চাকরিতেও ছিল অনীহা। তা এই সর্বনাশা নেশা থেকে ছেলেকে মুক্ত করতে পুনর্বাসন কেন্দ্রে রেখে এসেছিল তার পরিবার। সোমবারই রিহ্যাব সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরে কেশব। এরপর মঙ্গলবার রাতে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা বাধে তার। জানা গিয়েছে, মাদক দ্রব্য কেনার জন্য টাকা চেয়েছিল যুবক। যা দিতে অস্বীকার করে বাড়ির লোকেরা। এর পরেই একে একে বাবা, মা, বোন ও ঠাকুমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলার নলি কেটে খুন করে সে।
চিৎকার শুনে পুলিশকে ফোন করেন প্রতিবেশী
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদক আসক্তির জন্যেই দীপাবলির সময় চাকরি খোয়া যায় যুবকের। খুনের সময়ও নেশাগ্রস্ত ছিল সে। ওই অবস্থায় ঠাকুমা দিওয়ানা দেবী (৭৫), বাবা দিনেশ কুমার (৫০), মা দর্শনা (৪২) ও বোন উর্বশীকে (১৮) নৃশংস ভাবে হত্যা করে সে। দিনেশ ও দর্শনার দেহ পুলিশ উদ্ধার করে বাথরুম থেকে। অন্য একটি ঘরে ছিল দিওয়ানা দেবী ও উর্বশীর দেহ। খুনের পর পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক। যদিও আত্মীয়-প্রতিবেশীরা যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাদের কাছে ফোন আসে। এক ব্যক্তি জানান, পাশের বাড়ি থেকে আর্তচিৎকার শোনা যাচ্ছে একাধিক মানুষের। হয়তো সেখানে ভয়ঙ্কর কোনও ঘটনা ঘটেছে। ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি ছুটে আসে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পান গোটা ঘর রক্তে ভাসছে, চারজনের দেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশকে দেখতে পেয়েই অভিযুক্ত যুবক পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ।
+ There are no comments
Add yours