মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুক্তি পেয়েছে অবতারের দ্বিতীয় পার্ট (Avatar 2)। বহু প্রতীক্ষিত এই ছবির নাম অবতার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার। ছবিটি পরিচালনা করেছেন কিংবদন্তী পরিচালক জেমস ক্যামেরুন। ছবিটিতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার তাক লাগিয়েছে দর্শকদের। ছবিটির দুর্দান্ত সিনেমাটোগ্রাফিও প্রশংসা কুড়িয়েছে দর্শকদের। ছবির গ্রাফিক্স ও ভিজুয়াল রিপ্রেজেন্টেশনও অসাধারণ। ৩ডি ফুটেজের সঙ্গে রয়েছে কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজারি গ্রাফিক্স।
কী কী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে ছবিটিতে?
ছবিটিতে (Avatar 2) অনেক কম্পিউটার জেনারেটেড ইমেজারি ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগে এই প্রযুক্তি একমাত্র দেখা গিয়েছিল রবার্ট জেমেকিস পরিচালিত ছবি বেউলফ-এ। শুটিংয়ের সময় জেমস ক্যামেরুন যখনই কোনও অভিনেতার দিকে ক্যামেরা তাক করেছেন তাঁকে সেই একই সময়ে মনিটরে অবতার হিসাবেই দেখা গিয়েছে।
অবতারদের জগতকে আরও সুন্দর দেখাতে রিয়েল টাইম মোশন ক্যাপচার ব্যবহার হয়েছে এই ছবিতে (Avatar 2)। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে ছবির শুটিংয়ের সময় পরিচালক রিয়েল টাইমে অবতারের দুনিয়া দেখতে পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঐশর্য রাইয়ের জাল পাসপোর্ট! উত্তরপ্রদেশের গ্রেফতার তিন
জেমস ক্যামেরুন-সহ এই ছবির (Avatar 2) অন্যান্য কলা কুশলীরা ছবিটি তৈরির জন্যে ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। প্রতিটি শটকে নিখুঁত করতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল। ছবিতে গ্রাফিক্সে আলো ও ছায়ার ব্যবহারও অসাধারণ। এই কাজে ব্যবহার হয়েছে ১০০০ টিবি হার্ড ড্রাইভ স্টোরেজ।
এই ছবির শুটিং- এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই ছবিতে (Avatar 2) শুটিংয়ের সময় অভিনেতারা নিজেদের মাথায় একটি ক্যামেরা অ্যাটাচ করেছিলেন। এই জন্য ব্যবহার হয়েছে বিশেষ ক্যামেরা রিগ। মুখের ডিজিটাল শট ক্যাপচার করার জন্য এই রিগ ব্যবহার হয়েছিল। এই রিগ মুখের সূক্ষ্ম নড়াচড়াও ক্যাপচার করতে সক্ষম হয়েছে।
এই ছবিতে (Avatar 2) কোথাও নতুন সংলাপ ঢোকানোর প্রয়োজনে অথবা সংলাপ স্বচ্ছ করার জন্য অ্যাডিশনাল ডায়ালগ রিপ্লেসমেন্ট প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে। ছবিটিতে ৩ ডি ফিউশন ক্যামেরাও ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি এই ছবিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours