মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই চিন-সহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশ ফের করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে এ দেশেও। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে। এদিন সংসদে বিবৃতি পেশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। সংসদে তিনি বলেন, "কোভিড অতিমারি শেষ হয়ে যায়নি। সচেতন থাকুন। তবে দেশের কোভিড (Coronavirus) পরিস্থিতি নিয়ে এখনই কোনও আতঙ্কের কারণ নেই।"
কী বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী?
এদিন সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য আরও বলেন, "গত কয়েকদিন ধরে বিশ্বের বহু দেশে কোভিডের (Coronavirus) কেস বেড়েছে। কিন্তু ভারতে এখনও তেমন প্রভাব পড়েনি। আমরা চিনের ক্রমবর্ধমান কোভিড কেস এবং এর কারণে মৃত্যুর ওপর নজর রাখছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রক কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সক্রিয়। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে আর্থিক সহায়তা করেছে। এখনও পর্যন্ত ২২০ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন শট দেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছি। রাজ্যগুলিকে কোভিডের নতুন রূপ শনাক্ত করতে জিনোম-সিকোয়েন্সিং বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।"
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "উৎসব এবং নতুন বছরের মরশুমের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যগুলিকে বুস্টার ডোজ (Coronavirus) সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরতে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যে সচেতন করতে হবে। আমরা দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের মধ্যে র্যান্ডম আরটিপিসিআর স্যাম্পলিংও শুরু করেছি। আমরা মহামারি মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের মনে রাখতে হবে কোভিড এখনও শেষ হয়ে যায়নি।"
আরও পড়ুন: আসানসোলের পদপিষ্ট কাণ্ডে জিতেন্দ্রজায়া চৈতালিকে রক্ষাকবজ দিল হাইকোর্ট
করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের (Coronavirus) ইতিমধ্যেই খোঁজ মিলেছে ভারতে। ওড়িশা এবং গুজরাটে মোট ৪ জনের দেহে ওমিক্রন বিএফ.৭-এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ওমিক্রনের আগের রূপের মতোই এটিও তীব্র সংক্রামক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পর্যালোচনা বৈঠকে মূলত বুস্টার টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ দু’টি টিকা নিলেও এখনও পর্যন্ত তৃতীয় টিকা বা বুস্টার নিয়েছেন মাত্র ২৭ শতাংশ।
ভারতে ওমিক্রন বিএফ.৭ -এর (Coronavirus) প্রথম আক্রান্তের খোঁজ মেলে অক্টোবর মাসে। গুজরাটের বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে ধরা পড়ে ওই ভ্যারিয়েন্ট। এর পরে মোদির রাজ্যেই আরও এক আক্রান্তের সন্ধান মেলে। এ ছাড়া, ওড়িশায় ২ জনের দেহে ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি।
+ There are no comments
Add yours