মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই আসানসোলে (Asansol Stampede Case) বিজেপির এক সভায় কম্বল নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। এই ঘটনায় আয়োজনে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। তদন্ত চালিয়ে গেলেও, এখনই গ্রেফতার করা যাবে না, জিতেন্দ্র-জায়া চৈতালি তিওয়ারি। আজ মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
আরও পড়ুন: দৃশ্যে বদল! 'পাঠান' নিয়ে বড় নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের
বুধবার আসানসোলে (Asansol Stampede Case) পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ জানায়, চৈতালি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। চৈতালিকে গ্রেফতার করার আর্জি জানায় পুলিশ। এর জবাবে পুলিশকে বিচারপতি মান্থা বলেন, "অভিযুক্ত তো অসত্য তথ্যপ্রমাণ দিতেই পারেন। পুলিশেরই তো কাজ সত্যি ঘটনা কী এবং আসল তথ্য খুঁজে বের করা।" তবে এর পরে চৈতালির বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতিও দেন পুলিশকে। হাইকোর্টের তরফে এদিন চৈতালির রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগেই চৈতালিকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তার মেয়াদ বুধবার আরও তিন সপ্তাহ বাড়িয়ে দেন বিচারপতি মান্থা। যার ফলে আপাতত তদন্তকারীরা এই মামলায় গ্রেফতার করতে পারবেন না চৈতালিকে।
কী ঘটেছিল?
প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষে আসানসোলে (Asansol Stampede Case) একটি কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ঘটনার জেরে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ৩ জন। ঘটনাটি যেখানে ঘটে, সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি। চৈতালি আসানসোল পুরসংস্থার একজন কাউন্সিলর। ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি ঘটে শুভেন্দু সভা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর। অভিযোগ, শুভেন্দু সভা ছাড়ার পরই কম্বল নেওয়া নিয়ে হুড়োহুড়ি পরে যায় ওই অনুষ্ঠানে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours