মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মগত ত্রুটির কারণে সম্পূর্ণ হয়নি হাতের গঠন। তা নিয়ে মনমরা হয়েছিলেন গুজরাটের (Gujarat) ভারুচের বাসিন্দা সামিয়া মনসুরি। বয়স যত বেড়েছে, ততই বেড়েছে বিড়ম্বনা। ১৮ বছর বয়স হতেই মিটল সমস্যা। জন্মদিনে কার্যত নতুন জীবন পেলেন ওই অষ্টদশী। আজ্ঞে, হ্যাঁ, যে ডান হাতের গঠন সম্পূর্ণ হয়েছিল না জন্মগত ত্রুটির কারণে, সেই হাতই প্রতিস্থাপন (Hand Transplant) করা হল। বিরল অস্ত্রোপচার করে ওই তরুণীর হাত প্রতিস্থাপন করে নজির সৃষ্টি করলেন মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
সামিয়া...
জন্ম থেকেই সামিয়ার ডান হাতের কনুই থেকে আঙুল পর্যন্ত হাড়, পেশি, স্নায়ু, রক্তবাহ সব কিছুই স্বভাবিকের তুলনায় আকারে ছোট। জন্মের পর থেকেই তাই তাঁর পরিবার তাঁকে নিয়ে ঘুরেছেন চিকিৎসকের দোরে দোরে। দেশের একাধিক হাসপাতালেও ঘুরেছেন শিশু সামিয়ার হাত ঠিক করার জন্য। কেউই আশার আলো দেখাতে পারেনি। শেষমেশ তাঁরা দ্বারস্থ হন মুম্বইয়ের গ্লোবাল হাসপাতালের। বেশ কয়েকটি কাউন্সেলিং সেশনের পর হাসপাতালের প্লাস্টিক, হ্যান্ড এবং রিকনস্ট্রাক্টিভ মাইক্রো সার্জন নীলেশ সতভাইয়ের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল সামিয়ার হাত প্রতিস্থাপন করতে রাজি হন। যদিও নাবালিকা হওয়ায় তাঁর হাত প্রতিস্থাপন (Hand Transplant) করা যায়নি।
আরও পড়ুুন: ‘পাঁচ বছরের মধ্যেই সব পঞ্চায়েতে মিল্ক ডেয়ারি ও ফিশারি সোসাইটি গড়ে উঠবে’, বললেন শাহ
জানুয়ারির ১০ তারিখে আঠারোয় পা দেন সামিয়া। তাঁর সম্মতি মেলার পর শুরু হয় অঙ্গদাতার খোঁজ। মিলেও যায়। ইন্দোরের বাসিন্দা ৫২ বছর বয়সি এক মহিলার পরিবার হাত দান করতে রাজি হন। টানা ১৩ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের শেষে নতুন জীবন ফিরে পান সামিয়া। বলেন, জন্মদিনে এটাই আমার কাছে সেরা উপহার। আমি এই মুহূর্তে পৃথিবীর সুখীতম মানুষ। বিসিএ নিয়ে পড়াশোনা করছেন সামিয়া। বলেন, বিসিএ, এমসিএ পড়ার পর পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে কাজ করতে চাই।
চিকিৎসক নীলেশ সতভাই বলেন, জন্মগত ত্রুটির ক্ষেত্রে হাত প্রতিস্থাপনের (Hand Transplant) নজির চিকিৎসাশাস্ত্রে আর নেই। অস্ত্রোপচারের জটিলতা বোঝার জন্য এবং তাতে বৈধ সম্মতি দেওয়ার জন্য রোগীর বয়স ১৮ হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। ওর ১৮তম জন্মদিনে আমরা ওকে প্রতিস্থাপনের জন্য নথিভুক্ত করি।
+ There are no comments
Add yours