মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জামিনের আবেদন খারিজ। আরও ৩৫ দিন জেলে থাকার নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। জানিয়ে দেওয়া হয় যে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিককে অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। এদিন তিনি তাঁর জামিনের জন্য ফের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কোনও কিছুই কাজে দিল না। শেষপর্যন্ত আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। ১৪ মার্চের পরেই মানিক মামলার আবার শুনানি হবে আদালতে।
জেলে বন্দি থাকায় আপত্তি মানিকের
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য জেলবন্দি। ফলে তাঁকে জেলে আটকে রাখা নিয়ে আজ আদালতে আপত্তি করেছেন তিনি। তিনি গতকালও বলেছিলেন, “আমি আর কত জ্বলব? আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে এমন অনেক অভিযোগ আনা হচ্ছে যার প্রমাণ আমি বাড়িতে থাকলে দিতে পারতাম। কিন্তু আমি তো বন্দি!” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তাঁর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত। ইডির আইনজীবী গতকাল সওয়াল করেননি। তবে আজ, বুধবার বেলা ১১টার সময়ে ব্যাঙ্কশালের বিশেষ ইডি আদালতে ফিরোজ এডুলজি মানিকের জামিনের বিরোধিতা করে সওয়াল করেন। বুধবারও ব্যাঙ্কশাল আদালতে মানিকের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই তাঁর হয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। তবে তা শোনেনি আদালত।
আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি
ইডির বিস্ফোরক দাবি
অন্যদিকে আজ ইডির আইনজীবী আদালতে কুন্তল ও মানিকের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি আদালতে জানান, পরীক্ষার ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র ব্যবহার করে বিশেষ ‘গুপ্ত সঙ্কেত’ পাঠানো হত দুর্নীতির জন্য। এর সঙ্গে হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষও যুক্ত ছিলেন। তবে, এসব সমস্ত কিছুই মানিকের নজরদারিতেই হত। ফলে এই সব দাবি করে ইডির আইনজীবী মানিকের জামিনের বিরোধিতা করেন। আর আদালতও আজ দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মানিকের আবেদন খারিজ করে দেয় ও আর ৩৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours