মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাঁজার প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল হ্যান্ড গ্রেনেড। রবিবার সকালে কোচবিহার আদালতের মালখানার ভেতরে থাকা সেই হ্যান্ড গ্রেনেডই নিষ্ক্রিয় করল ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ আধিকারিকরা। এদিন সকালে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেনাবাহিনীর ৬ থেকে ৭জনের সদস্যের একটি দল আদালত চত্বরে এসে হ্যান্ড গ্রেনেডটিকে নিষ্ক্রিয় করেন বলে জানা গেছে। গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার সময় সাগরদিঘি চত্বরকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। সেখানে এক দিকে যেমন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন তেমনি দমকল বাহিনীও মোতায়েন করা হয় সেখানে।
কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দিন তিনেক আগে আদালতের মালখানা পরিষ্কার করতে গিয়ে ওই গ্রেনেডটি লক্ষ্য করেন সেখানে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয় কোচবিহার জেলা পুলিশের কাছে। এরপর রাজ্য পুলিশের বোম স্কোয়াডের একটি দল পরবর্তীতে ওই গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করতে এলে তারা গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে জানান, তাঁরা নিষ্ক্রিয় করতে পারবেন না। পরে কোচবিহার পুলিশের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে।
আরও পড়ুন: রাজ্য সফরে এসে মমতার কী নাম দিলেন নাড্ডা?
সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার রেজিমেন্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তাঁরা জানান ছুটির দিন রবিবার এই হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করতে হবে। সেই মত রবিবার সকালেই গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সেনাবাহিনীর নিষ্ক্রিয়কারী দল যেখানে বোমা রাখা ছিল সেখানে পৌঁছে যান এবং তাঁরা দেখতে পারেন সেই বোমা বাইরে নিয়ে এসে নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। পরবর্তীতে কোচবিহার জেলা আদালতের বিচারপতির অনুমতি নিয়েই ওই মালখানার ভেতরেই হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার বন্দোবস্ত করা হয়। সেনাবাহিনীর জওয়ানরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে দক্ষতার সঙ্গে গ্রেনেড টি নিষ্ক্রিয় করেছেন বলে জানা গেছে। এই কাজের ফলে আদালতের মালখানার ঘরের কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়।
এই বিষয়ে এডিশনাল এসপি জানান, কোর্টের মালখনায় ০.৩৬ আর্মি গ্রেট গ্রেনেড পাওয়া গেছে। যেহেতু আর্মি গ্রেনেড তাই পুলিশের টিম তা নিষ্ক্রিয় করতে পারেনি। জলপাইগুরির ইঞ্জিনিয়ারের রেজিমেন্ট এসে সব দেখে জানান গ্রেনেড টি ওখানেই নিষ্ক্রিয় করতে হবে।
বিন্নাগুড়ির ৬-৭ জন ইঞ্জিনিয়ারের টিম এসে জেলা আদালত ও জেলা জর্জ এর অনুমতি নিয়ে গ্রেনেডটি নিস্ক্রিয় করেন। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় আশেপাশে। কীভাবে গ্রেনেড এল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
+ There are no comments
Add yours