মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারতে এসেছে চিতা৷ শনিবার সকালে ভারতীয় বায়ুসেনার আইএএফসি-১৭ বিমানে ১২টি চিতা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে এসে পৌঁছয়৷ কুনোয় সংরক্ষিত এলাকায় তাদের খাঁচামুক্ত করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান এবং কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। এদিন দেশে চিতাদের ফের আগমনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে লিখেছেন, “উন্নয়নের সঙ্গে ভারতের বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পেয়েছে।” এই ট্যুইটে পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবকেও ট্যাগ করেছেন মোদি।
India’s wildlife diversity receives a boost with this development. 🐆 https://t.co/ceF0dzPcXm
— Narendra Modi (@narendramodi) February 19, 2023
নামিবিয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এল চিতা
শুক্রবার মধ্যরাতের পর (স্থানীয় সময়) দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গ থেকে যাত্রা শুরু হয়৷ প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় আকাশে কাটিয়ে গোয়ালিয়রে নামে চিতারা৷ এরপর বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে এয়ারলিফ্ট করে তাদের কুনো জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, মোট ১২টি চিতার মধ্যে স্ত্রী চিতা রয়েছে ৫টি এবং বাকি ৭টি পুরুষ চিতা বলে জানা গেছে। কিছুদিন কুনো জাতীয় উদ্যানে নতুন চিতাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
গতকাল চিতাগুলোকে কুনো জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়ার পর ভূপেন্দ্র যাদব ট্যুইট করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শুরু হওয়া চিতা প্রকল্প আজ ফের একটি মাইলফলক ছুঁয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহানের উপস্থিতিতে চিতাগুলো মুক্ত করা হয়েছে।” এই ট্যুইটের উত্তরেই প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, চিতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেশে বন্যপ্রাণীর বৈচিত্রেও বৃদ্ধি এসেছে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, কুনো জাতীয় উদ্যানে ১২টি চিতাকে কোয়ারান্টিনে রাখার জন্য ১০টি এনক্লোজার তৈরি করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আনা পশুদের ৩০ দিন নিভৃতে রাখাই ভারতের বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী, যাতে রোগভোগ সংক্রান্ত বিপদ টের পাওয়া যায় আগেই, এড়ানো যায় বিপদ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে নামিবিয়া থেকে প্রথম দফায় ভারতে আসে ৮টি চিতা৷ তাদের শেওপুর জেলার কুনো জাতীয় উদ্যানে কয়েকমাস কোয়ারান্টিনে রেখে তারপর ছাড়া হয়৷ আর এবারে আনা হল ১২ টি চিতা। ভারতকে ফের চিতার বাসযোগ্য করে তুলতেই এমন পদক্ষেপ কেন্দ্রের। ১৯৪৭ সালে তৎকালীন শেষ চিতাটির মৃত্যু হয় ভারতে। এর পর ১৯৫২ সালে চিতাকে দেশের মধ্যে বিলুপ্ত প্রাণী বলে ঘোষণা করা হয়। এর পর, বছর তিনেক আগে ফের ভারতকে চিতার বাসযোগ্য করে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্র। নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাই নয় শুধু, আফ্রিকার অন্য দেশ থেকেও চিতা নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। চিতার বংশবিস্তারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ বছরে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours