মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজত শেষে তিন অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষকে বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হল। এদিনও আদালতে তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তাঁদের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী নেতার যোগ
প্রসঙ্গত, এতদিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন তিন মূর্তি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় একাধিকবার তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। তাঁদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসা করে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। সূত্রের খবর, ধৃত কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে জেরা করতে গিয়ে এবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী নেতার নাম উঠে এসেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চক্রে যুক্ত ছিলেন প্রভাবশালী ওই নেতা। তবে তাঁর পরিচয় এখনও খোলসা করে জানা যায়নি। এছাড়াও একাধিক ব্যাক্তির নাম উঠে এসেছে, যাঁরা গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল এবং এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাকরির সুরাপিশ পাঠাত। একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’র ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আদৌ কী ওই ব্যক্তি জড়িত না শুধুই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ০২২ টেটের ৭ প্রশ্নে ভুল, মামলা দায়ের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে
সিবিআই -এর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিন্ডিকেটের মূলে ছিলেন গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ – এই চারজন। এদের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত ছিলেন সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷। এদিন আদালতে ঢোকার মুখে ফের একবার কুন্তল নিশানা করেন গোপাল দলপতিকে। তিনি বলেন, টাকা পয়সার পুরো লেনদেনের বিষয়টি জানেন গোপাল। উনিই যা করার করেছেন। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে কুন্তল বলেছেন, সুজয় ভদ্র কালীঘাটের কাকু নন। অথচ গত দু’দিন ধরে তাপস মণ্ডলের বলা এই নাম নিয়েই তোলপাড় চলেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours