Recruitment Scam: মালদায় হৈমন্তী, রয়েছেন তৃণমূল বিধায়কের ছত্রছায়ায়! বিস্ফোরক দাবি খগেন মুর্মুর

Recruitment Scam: বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা হৈমন্তীর! এই বিষয়ে সার্বিক তথ্য-সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠাচ্ছে বিজেপি।
recruitment_scam_(2)
recruitment_scam_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে খোঁজ পাওয়া গেল গোপালের দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তীর! মালদায় হৈমন্তী! তাও আবার এক তৃণমূল বিধায়কের আশ্রয়ে! অন্তত এমনটাই দাবি করছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। জানা গিয়েছে, তাঁর লোকসভা কেন্দ্রেই মালদার চাঁচলে একটি হোটেলে সোমবার রাতে খুব গোপনে ঢোকেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে নিয়ে আসেন এক তৃণমূল বিধায়ক ও তাঁর অনুগামীরা। কয়েকদিন ধরেই ‘নিখোঁজ’ হৈমন্তীকে খুঁজে পেতে মরিয়া তদন্তকারীরা। কোথায় থাকতে পারেন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় (Recruitment Scam) উঠে আসা এই চরিত্র? এই নিয়েই যখন জোর চৰ্চা চলছে সব মহলে, তখনই হঠাৎ জানা গেল হৈমন্তী রয়েছেন মালদায়।

অবশেষে হৈমন্তীর খোঁজ!

খগেন মূর্মূর আরও বিস্ফোরক দাবি, এক তৃণমূল বিধায়কের ব্যবস্থাতেই হোটেলে ওঠেন হৈমন্তী। হৈমন্তীকে চাঁচল থেকে বিহার বা ঝাড়খণ্ড হয়ে নেপালে পাঠানোর ব্যবস্থাও করেন তৃণমূল বিধায়ক। এই গোটা বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানাতে চলেছে বিজেপি, এমনটাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে গেরুয়া শিবির সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হবে বলেও জানা গিয়েছে।

এদিন খগেন মুর্মু বলেন, “আমি হঠাৎ করে শুনলাম, আমাদের জেলার চাঁচলে, আমার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে, ওখানে একটা হোটেলে এসেছিলেন। সেখানে তৃণমূলের বিধায়ক ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। খোঁজখবর করা হচ্ছে। ওখানে থেকে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোতে চলে যেতে পারেন। কারণ এভাবেই তো পালিয়ে বেড়ান।”

অন্যদিকে, সাংসদের বক্তব্যের পর সেই হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা গোটা বিষয়টি অস্বীকার করলেও তাদের কথায় অসঙ্গতি ধরা পরে। হোটেলের এক কর্মীকে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় কত নম্বর রুমে ছিলেন, এই প্রশ্ন করা হলে তার উত্তরে তিনি বলেন, “আজ সব চেক আউট হয়ে গিয়েছে। কালকে ছিলেন। আজকে সব চেক আউট হয়ে গিয়েছে (Recruitment Scam)।"

১০৪টি সংস্থায় ৩০ কোটির লগ্নি!

অন্যদিকে সংবাদ মাধ্যমের সামনে জোর গলায় কুন্তল বলেন (Recruitment Scam), “নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত টাকা গোপালের স্ত্রী হৈমন্তীর কাছে রয়েছে।” এর পরে ইডি ও সিবিআইয়ের বিশেষ নজরে গোপাল-হৈমন্তীর সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, দু’টি বণিকসভার নেটওয়ার্কের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেই নেটওয়ার্কে থাকা কয়েকটি সংস্থার অধিকর্তা স্বামী-স্ত্রী অর্থাৎ গোপাল-হৈমন্তী। ওই নেটওয়ার্কে দেশের অন্তত ১১টি রাজ্যে থাকা ১০৪টি সংস্থা এবার সিবিআইয়ের নজরে। যদিও ওই ১০৪টি সংস্থার মধ্যে বেশিরভাগই এই রাজ্যের। সংস্থাগুলিতে অন্তত ৩০ কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে বলে খবর পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সংস্থাগুলির উপর নজর রাখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। ফলে কতগুলি সংস্থার মাধ‌্যমে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন ইডি ও সিবিআই আধিকারিকরা।

কুন্তল টাকা পাঠিয়েছেন গোপালের অ্যাকাউন্টে

আবার নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় (Recruitment Scam) ফের এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। জানা গিয়েছে, গোপাল দলপতিকে দফায় দফায় টাকা পাঠিয়েছে ধৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। গোপালের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট খতিয়ে দেখে এমটাই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, ২০১৭-র ২৪ নভেম্বর, ৫০ হাজার, ২৫ নভেম্বর, আরও ৫০ হাজার, ২৭ নভেম্বর একলক্ষ টাকা গোপালের অ্যাকাউন্টে জমা করেছিলেন কুন্তল। এরপর ২০২১-এর ২৯ অক্টোবর, কুন্তল ৭০ হাজার টাকা পাঠান গোপালের অ্যাকাউন্টে। সিবিআইয়ের দাবি, এছাড়াও, গোপাল ওরফে আরমানের অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা জমা পড়েছে। ২০১৭-য় গোপালের আরমান ট্রেডিংয়ের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয় নগদ ২ লক্ষ টাকা। এরপর ২০২১-এ গোপালের দিল্লির কেজি মার্গের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদ ৩ লক্ষ টাকা জমা পড়ে।

ফলে এত বার করে গোপালকে কেন টাকা পাঠিয়েছে কুন্তল? তাহলে কি গোপাল দলপতিও কোনও ভাবে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে? কোথা থেকে এত টাকা পেল কুন্তল? উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এই সব কিছুই এখন সিবিআইয়ের স্ক্যানারে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles