মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন আতঙ্কের আর এক নাম অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenovirus)। ক্রমেই বাড়ছে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এবার সরকারি হাসপাতালে শিশু চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত সকল স্বাস্থ্য কর্মীর ছুটি বাতিল করা হল। এর সঙ্গেই জানানো হয়েছে, অ্যাডিনো (Adenovirus) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে ফিভার ক্লিনিক। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়।
পরিস্থিতি ভয়াবহ
গত ২ মাসে অ্যাডিনো ভাইরাস, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে, রাজ্যে ১১২ শিশুর মৃত্যুর হয়েছে। শুধুমাত্র রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭ শিশুর! যে ৭ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪ জন নিউমোনিয়া ও ২ জন অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল, বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। পার্ক সার্কাসের ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি মতে,শুধুমাত্র বি সি রায় শিশু হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে ৪৫ শিশুর। এই পরিস্থিতে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে ছুটি বাতিল করা হয়েছে সব সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডল কেমন থাকবেন জানালেন দিলীপ ঘোষ
বিরোধীদের অভিযোগ
হাসপাতালে যাতে অক্সিজেনের অভাব না থাকে তার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালের ক্লিনিকগুলিতে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। যে হাসপাতালগুলিতে শিশুবিভাগ আছে সেখানে আলাদা আউটডোর চালু করার কথা বলা হয়েছে। যাতে সাধারণ বহির্বিভাগে এই রোগীদের অপেক্ষা করতে না হয়। এই রোগটির সম্পর্কে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে, নবান্ন থেকে ১০ দফার পরামর্শ দেওয়া হলেও রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার কতটা উন্নতি হয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। শহরের উপরে পরিষেবা যেটুকু বা মেলে গ্রামাঞ্চলে অবস্থা ভয়াবহ। সেখানকার হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোর অভাবেই শহরে ভিড় জমাচ্ছে অসুস্থ শিশুর পরিবার। চাপ বাড়ছে শহরের হাসপাতালগুলিতে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours