মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ আকাশে রাশিয়ান ফাইটার জেট ও আমেরিকান ড্রোনের সংঘর্ষ (Russia-America)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি দুই দেশে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মেয়াদ একবছরের বেশি হয়ে গেল। কিন্তু এখনও তা থামার নাম নেই। আবার ইউক্রেনকে একাধিক ক্ষেত্রে সাহায্য করতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের উপকূলে কৃষ্ণসাগরের উপরে মাঝ আকাশে আক্রান্ত আমেরিকা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এই ঘটনার পর কি আরও তিক্ত হয়ে উঠবে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক?
আমেরিকার কী বক্তব্য?
সূত্রের খবর, মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইউরোপিয়ান কম্যান্ডের তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে যে, কৃষ্ণসাগরের উপর আন্তর্জাতিক জলসীমায় মার্কিন এমকিউ-৯ ড্রোন (মার্কিন স্পাই ড্রোন) চালানো হচ্ছিল। ওই ড্রোনকে ‘ইন্টারসেপ্ট’ করে রাশিয়ার দুটি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমান। এরপর সকাল ৬ টা ৩ মিনিটে (গ্রিনিচ সময় অনুযায়ী) ড্রোনের সঙ্গে রাশিয়ার একটি সুখোই যুদ্ধবিমানের ধাক্কা লাগে। আরও দাবি করা হয়েছে, মার্কিন ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষের আগে এমকিউ-৯-এর উপর জ্বালানি ঢেলে দেয় রাশিয়ার যুদ্ধবিমান৷ এরপর একটি যুদ্ধবিমান এমকিউ-৯-এর প্রপেলারে ধাক্কা মারে৷ এতে মার্কিন সেনাবাহিনী তড়িঘড়ি ড্রোনটিকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়৷
আরও পড়ুন: জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, বিক্ষোভ, স্লোগান! ইমরানের গ্রেফতারি ঘিরে রণক্ষেত্র লাহোর
যদিও, এই দাবি মানতে নারাজ রাশিয়া। তবে এই সংঘর্ষ ঠিক দুর্ঘটনা নাকি ইচ্ছাকৃত, তা এখনই স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না৷ তবে দু'পক্ষই স্বীকার করেছে, রাশিয়ার এয়ারক্রাফ্ট মার্কিন ড্রোনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিল৷ মার্কিন সেনা এই ঘটনাকে রাশিয়ার ‘চরম বেপরোয়া’ বলে নিন্দা করেছে। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় অবস্থিত রুশ দূতাবাস থেকে তলব করা হয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে।
রাশিয়ার দাবি
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, মার্কিন ড্রোনটি রাশিয়ার সীমান্তের কাছে চলে এসেছিল (Russia-America)৷ ক্রিমিয়ার ওই এলাকার আকাশে কোনও বিমানের ওড়া নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া৷ অথচ সেই জায়গায় অনুপ্রবেশ করেছে মার্কিন নজরদারি ড্রোন এমকিউ-৯৷ তাদের দাবি, মার্কিন ড্রোনটিকে বাধা দিতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে৷ ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নীচের দিকে নেমে যাচ্ছিল এবং জলে পড়ে যায়৷
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours