Fraud: ৫জি টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কোথায় জানেন?

৫জি টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে বারাকপুর মহকুমার নোয়াপাড়া থানা এলাকায় এক ব্যক্তির কাছে ১৭ লক্ষ টাকার প্রতারণা করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
Fraud
Fraud

মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ৫ জি টাওয়ার বসানোর জন্য কারও কাছে মোবাইলে ফোন আসলে, ধরবেন না। কারণ, রাজ্য জুড়ে একটি প্রতারণাচক্র (Fraud) সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর তারা ফোন করে ৫  জি টাওয়ার বসানোর জন্য মোটা টাকার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই চক্র (Fraud) । বারাকপুর মহকুমায় নোয়াপাড়া থানা এলাকার এক ব্যক্তি এই প্রতারণা চক্রের খপ্পরে পড়ে কার্যত সর্বসান্ত হয়েছে। প্রতারকরা তার বাড়িতে ৫ জি টাওয়ার বসানোর লোভ দেখিয়ে কয়েক দফায় ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। প্রতারিত হওয়ার পর তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে থানার দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ এই চক্রে (Fraud)  জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুদীপ বিশ্বাস, সুজন ঘোষ, সঞ্জয় বালা, তপন মণ্ডল এবং মহিতোষ কুণ্ডু। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।

 কীভাবে প্রতারণা করল অভিযুক্তরা? Fraud

 কয়েকদিন আগেই নোয়াপাড়ার ওই ব্যক্তির কাছে একজন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করেন। তাঁর বাড়িতে ৫ জি টাওয়ার বসানো হবে বলে টোপ দেওয়া হয়। শুধু বাড়ির ওই জায়গা দেওয়ার জন্য তাঁকে এককালীন ২৫ লক্ষ টাকা এবং প্রতিমাসে ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। তবে, বিষয়টি অন্য কাউকে না জানানোর কথা বলা হয়। পরে, তাঁর বাড়ির ছবি, দলিল সব কিছু চাওয়া হয়। পরে, ওই ব্যক্তির নাম রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কয়েকদিন এই সব কাজ করার পর ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে, ওই ব্যক্তির চাহিদা রয়েছে কি না দেখা হয়। মোটা টাকার হাতছাড়া হয়ে যাবে ভেবে ফের ওই ব্যক্তি যোগাযোগ করেন। কিন্তু, তখনও কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলা হয়। এরকমভাবে আরও কিছুদিন ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর আচমকা ফোন করে তাঁকে জানানো হয়, আপনার কাগজপত্র দেখে অফিস আপনার বাড়িতে টাওয়ার বসানোর আগ্রহ দেখিয়েছে।  এরপর শুরু হয় আসল খেলা। অফিসের অ্যাকাউন্টের নামে একটি ড্যামি অ্যাকাউন্ট পাঠানো হয়। সেই অ্যাকাউন্টে প্রথমে দেড় লক্ষ টাকা পাঠাতে বলা হয়। ২৫ লক্ষ টাকা হাতছাড়়া হয়ে যাবে ভেবে ওই ব্যক্তি এক কথায় দেড় লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেন। পরে, প্রতারকদের (Fraud) কথার জালে ফেঁসে ওই ব্যক্তি কয়েক দফায় সব মিলিয়ে মোট ১৭ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন।  আর ড্যামি অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকা উঠিয়ে নেওয়া হত। পরে, টাওয়ার না বসায় ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন প্রতারিত(Fraud)  হয়েছেন। এরপরই তিনি থানার দ্বারস্থ হন।

প্রতারকদের কোন এলাকা থেকে ধরল পুলিশ? Fraud

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়েই প্রতারকদের (Fraud)  জাল ছড়িয়ে রয়েছে। বাগদা থেকে বিষয়টি অপারেট হচ্ছে। আর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় তাদের এজেন্ট রয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের তদন্তে নেমে প্রথমে জগদ্দল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, বারাসত, বাগদা এবং গাইঘাটা থেকে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সঞ্জয় বালা এই অপরাধের মাস্টার মাইন্ড।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles