মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাধুমধাম করে শুরু হল ষোড়ষ আইপিএল। আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে গুজরাট টাইটান্স ৫ উইকেটে হারাল চারবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে। ইনিংসের বিরতিতে দেখা যায়, অম্বাতি রায়াডুর জায়গায় ফিল্ডিং করতে নেমেছেন তুষার পাণ্ডে। যিনি প্রথম ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে রেকর্ডও গড়লেন। করোনার পর নতুনরূপে ফিরেছে আইপিএল। নিয়মেও বদল এসেছে। একবার দেখে নেওয়া যাক ষষ্ঠদশ আইপিএলে কি কি নিয়ম যুক্ত হয়েছে, তার প্রভাব কতটা ফেলতে পারে ম্যাচে।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার
এই বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই চর্চা চলছিল। কেমন হবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের ভূমিকা। অবশেষে ভেদ হল রহস্য। প্রথম ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেললেন চেন্নাই সুপার কিংসের তুষার পাণ্ডে। তিনি মূলত পেস বোলার। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই সুপার কিংস ৭ উইকেটে তোলে ১৭৭ রান। গুজরাটের ব্যাটিং শুরু হওয়ার আগে অম্বাতি রায়াডুকে বসিয়ে ধোনি মাঠে নামান তুষারকে। মূলত বোলিং শক্তিশালী করাই লক্ষ্য ছিল সিএসকে’র। একই দিনে গুজরাট টাইটান্সও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মকে হাতিয়ার করে ব্যাটিং মজবুত করার চেষ্টা করে। চোটপ্রাপ্ত কেন উইলিয়ামসনের পরিবর্তে মাঠে নামেন সাই সুদর্শন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছে বিসিসিআই। যেমন, ইনিংস শুরু হওয়ার আগে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নেওয়া যাবে। একটা ওভার শেষে প্রয়োগ করা যাবে এই নিয়ম। ওভারের মাঝেও নেওয়া যাবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। তবে সেক্ষেত্রে উইকেট পতন বা ক্রিকেটার চোট পেলেই তা প্রযোজ্য হবে। শুধুমাত্র ভারতীয় প্লেয়ারদেরই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
টসের পরে প্রথম একাদশ
আগে নিয়ম ছিল, টসের সময় প্রথম একাদশ জানিয়ে দেওয়ার। সেটা বদল হয়েছে। এখন থেকে টসের পর প্রথম একাদশ জানাতে পারবেন অধিনায়করা। তবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে আগে থেকেই পাঁচজনের নাম জানাতে হবে। সেখান থেকেই বেছে নেওয়া যাবে একজনকে। দেশি ক্রিকেটারের বদলে বিদেশি ক্রিকেটার নামানো যাবে না। যদি প্রথম একাদশে বিদেশি ক্রিকেটারের সংখ্যা চার থাকে।
আরও পড়ুন: আজ, আইপিএল অভিযান শুরু কলকাতার! প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব
ওয়াইড নো-বলেও ডিআরএস
টি-২০ ক্রিকেটে প্রতিটি রান খুবই মূল্যবান। কিছু কিছু মুহূর্তে ওয়াইড, নো বল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এবার থেকে কোনও ওয়াইড বা নো বল নিয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে খুশি না হলে ডিআরএস নিতে পারবে যে কোনও দল। তবে সেক্ষেত্রে ঝুঁকি রয়েছে।
উইকেটকিপারের উপর বিধিনিষেধ
টি-২০ ফরম্যাটে ব্যাটসম্যানরা অভিনব শট খেলার প্রয়াস করেন। অনেক সময় দেখা যায়, ব্যাটসম্যানকে চাপে রাখতে ঘন ঘন স্থান বদল করছেন উইকেটরক্ষক। এবার থেকে সেটা করা যাবে না। আম্পায়াররা যদি দেখে বল করার আগেই উইকেটকিপার জায়গা বদল করছেন, তাহলে তিনি নো বল কল করতে পারেন, বা বলটি ডেড ঘোষণা করে দিতে পারেন।
পেনাল্টি
উইকেটকিপার এবং ফিল্ডার দুর্ব্যবহার করলে পেনাল্টি হিসেবে পাঁচ রান দেওয়া হবে। এছাড়াও ওই ডেলিভারিকে ডেড বল হিসেবে ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ পাঁচ রান পাওয়ার পর ব্যাটার আরও একটা বল খেলার সুযোগ পাবেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours