Sukanya Mondal: পাঁচবারে কোটি কোটি টাকার লটারি জিতেছেন বাপ-বেটি! কালো টাকা সাদা করতেই কি?   

জানুন মণ্ডল পরিবারের লটারি জেতার গল্প
anubrata
anubrata

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লটারির টিকিট কাটার নেশা অনেকেরই থাকে! রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তাঁরা। বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল এবং তাঁর কন্যা এক্ষেত্রে উদাহরণ হতে পারেন তাঁদের কাছে। কারণ বিগত ৩ বছরে পাঁচবার লটারি জিতেছেন কেষ্ট ও সুকন্যা (Sukanya Mondal)। ঘরে ঢুকেছে প্রায় ২ কোটি টাকা। এমন কপাল ক'জনেরই বা হয়। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, রাজ্যে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ লটারির টিকিট কাটেন, সেখানে কখনও একই পরিবারের সদস্যরা কিংবা গরুপাচারে অন্যতম মূল অভিযুক্ত বারবার লটারির পুরস্কার পাচ্ছেন কী করে? এর নেপথ্যে কী রহস্য রয়েছে? এবার সুকন্যাকে জেরা করে কি সেই রহস্য উন্মোচন করতে পারবে ইডি? প্রশ্ন সকলের।

জানুন মণ্ডল পরিবারের লটারি জেতার গল্প

গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের গোড়ায় অনুব্রত ডিয়ার লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন। সে খবরে রাখঢাক ছিল না। ডিয়ার লটারির বিজ্ঞাপনেই নাম বেরিয়েছিল বিজেতার। সে খবরে হইহই পড়ে গিয়েছিল। প্রথমে অনেকে ভেবেছিলেন ব্যাপারটা ফেক। ফটোশপ করে বোধহয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাজারে। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় সবটা। লটারি জেতা নিয়ে তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করায় কেষ্টর জবাব ছিল, “পেলেও আমি, দিলেও আমি। তাতে তোমাদের কী?”
এভাবে বাপ-বেটিতে লটারি জেতার অন্তত পাঁচ বারের হিসাব পেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইডি সূত্রে বলা হচ্ছে, শেষ তথা পঞ্চম বার সুকন্যা মণ্ডল লটারিতে জেতার পর তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সম্ভবত আয়কর বাদ দিয়েই তা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি সূত্রে খবর, অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আরও দুটি লটারির টাকা ট্রান্সফার হয়েছে। যার পরিমাণ ৫১ লক্ষ টাকা। তা ছাড়া ২০১৯ সালে অনুব্রত একটি লটারিতে ১০ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। সেই টাকার হিসাবও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাওয়া গিয়েছে।
সিবিআই তদন্ত করে দেখছে, সত্যিই কপাল জোরে লটারি জেতা নাকি ধারাবাহিক লটারি জয় আসলে একেবারে সাজানো চিত্রনাট্য। লটারির মাধ্যমে কালো টাকাকে সাদা করবার খেলা বহু দিন ধরে চলছে। কারণ লটারি জিতলে মোটা টাকা কর বাবদ দিতে হয়। লটারির টিকিট খুবই সহজে হস্তান্তরযোগ্য। মানে যাঁর কাছে সেই টিকিট থাকে তিনি পুরস্কারের টাকা পান। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেআইনি লেনদেন হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল কিনা খুঁজে দেখছে ইডি-সিবিআই।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles