মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে ঢুকে পড়ছে বিষধর সাপ। বৃষ্টি হলেই ফুটো হওয়া টিনের চাল দিয়ে জল পড়ছে ক্লাসরুমে। এমনকী বৃষ্টির জল স্কুল চত্বরেও ঢুকে পড়ছে। এছাড়া টিনের গরমে নাজেহাল অবস্থা খুদে পড়ুয়াদের (Education)। এমনই বেহাল দশা বালুরঘাট শহর লাগোয়া খিদিরপুরের শান্তিময় ঘোষ স্মৃতি কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
স্কুলের বেহাল দশা, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা
অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ওই স্কুল সংস্কার করা হয়নি। জেলার প্রায় অধিকাংশ স্কুলের ছাদ পাকা হলেও এখনও ওই স্কুলের ছাদ হয়নি। তাই বৃষ্টি ও ঝড়বাদলে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়তে হয়। শুধু ওই স্কুল (Education) নয়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়েই বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার হয়নি। অনেক স্কুলের বিল্ডিং পুরনো ও জীর্ণ দশায় পরিণত হয়েছে। কোথাও বা ছাদের একাংশ খসে পড়ছে। যা নিয়ে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট শহরের সীমানা বরাবর ওই স্কুলটি (Education) অবস্থিত। ১৯৮৯ সালের হলেও ওই স্কুল এখনও টিনের। চারদিকে দেওয়াল থাকলেও একেবারে জীর্ণ। একটিমাত্র ঘর ও একটি রান্নাঘর নিয়েই চলছে স্কুল। ছাত্র সংখ্যা ২৫ জন। শিক্ষিকা ২ জন। কিন্তু ওই স্কুলের বেহাল দশায় দিন দিন পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। স্কুলের চারদিকই ঢোবা-জঙ্গলে পরিপূর্ণ। তাই এই গরমে সাপের উৎপাত বাড়ছে। যা নিয়ে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্কও বাড়ছে।
কী বলছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ও জেলা সংসদ চেয়ারম্যান?
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নীতা ঘোষ দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের স্কুল (Education) খারাপ হয়ে আছে। স্কুল সংস্কারের জন্য দফতরে জানিয়েছি। ওই স্কুলের এক ছাত্রের অভিভাবক মিলন মোহন্ত বলেন, স্কুলে সাপ ঘুড়ে বেড়ায়। টিন ফুটো হয়ে জল পড়ে। এমনকী বৃষ্টির জল ঢুকে যায়। যার ফলে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা বলেন, কিছু স্কুল (Education) খারাপ আছে। সেই রিপোর্ট আমার কাছে এসেছে। তবে স্কুলগুলি কেন সংস্কার হচ্ছে না, তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours