Samaresh Majumdar: ‘দৌড়’ থেমে গেল ‘কালবেলা’র স্রষ্টার, প্রয়াত সমরেশ মজুমদার

হাসপাতালে সমরেশ ভর্তি হন ফুসফুল ও শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিয়ে। রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল...
samaresh_mazumder_f
samaresh_mazumder_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স হয়েছিল ৭৯। অসুস্থও ছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। সোমবার বিকেলে সেই জীবনেই দাঁড়ি টেনে দিলেন কালজয়ী ‘কালবেলা’র (Kalbela) স্রষ্টা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার (Samaresh Majumdar)। পৌনে ৬টা নাগাদ বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ২৫ এপ্রিল এই হাসপাতালেই সমরেশ ভর্তি হন ফুসফুল ও শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিয়ে। রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল। রবিবার সাহিত্যিকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, কিছুটা ভাল আছেন সমরেশ। সোমবার বিকেলে কালজয়ী এই সাহিত্যিক চলে গেলেন চিরঘুমের দেশে।

সমরেশ মজুমদারের (Samaresh Majumdar) কালজয়ী উপন্যাস...

১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয় সমরেশের প্রথম উপন্যাস ‘দৌড়’। প্রকাশিত হয় দেশ পত্রিকায়। তার পর তাঁর কলম প্রসব করে একের পর এক কালজয়ী উপন্যাস। ১৯৮২ সালে পান আনন্দ পুরস্কার। অ্যাকাডেমি পুরস্কার সহ পেয়েছেন আরও বহু সম্মান। গোয়েন্দা চরিত্র অর্জুনের স্রষ্টা তিনি-ই। সমরেশের (Samaresh Majumdar) শৈশব কেটেছে উত্তরবঙ্গের গয়েরকাটা চা বাগানে। ১৯৬০ সালে আসেন কলকাতায়। এখানেই পড়াশোনা। পড়াশোনার পাশাপাশি চলতে থাকে লেখালেখির কাজও। অনিমেষকে কেন্দ্র করে সমরেশের ট্রিলজি ‘উত্তরাধিকার’, ‘কালবেলা’, ‘কালপুরুষ’ তাঁকে বাংলা সাহিত্যে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে যায়। তাঁর ‘মৌষলকাল’ উপন্যাসটিও আদৃত হয় পাঠক মহলে।

সমরেশের ‘কালবেলা’ নিয়ে ছবি করেছেন গৌতম ঘোষ। সমরেশের বিখ্যাত উপন্যাসগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সাতকাহন’, ‘তেরো পার্বণ’, ‘উজান’, ‘গঙ্গা’, ‘ভিক্টোরিয়ার বাগান’, ‘আট কুঠুরি নয় দরজা’ এবং ‘গর্ভধারিণী’। তাঁর গল্পে ঘুরে ফিরে আসে উত্তরবঙ্গের ছবি, বিপ্লব এবং সংগ্রাম। গোয়েন্দা গল্পেও দক্ষতার ছাপ রেখেছিলেন সমরেশ। ব্যোমকেশ, ফেলুদা, কাকাবাবু, কর্নেলের পাশেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল সমরেশের অর্জুন। ‘খুঁটিমারি রেঞ্জ’, ‘খুনখারাপি’, ‘কালিম্পং-এ সীতাহরণ’ ইত্যাদি গল্পে দুর্দান্ত সব রহস্যের কিনারা করেছে অর্জুন। জলপাইগুড়ির অর্জুন বাংলা তো বটেই, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক সিটিতেও গিয়েছিল। সমাধান করেছিল রহস্যের।  

আরও পড়ুুন: “পার্থ তুই কত খেলি? কালীঘাটে কত পাঠালি?”, আদালত চত্বরে প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের

সমরেশের (Samaresh Majumdar) কলমে প্রাণ পেয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা। তিস্তা, তোর্সা, করলা এই তিন নদীই ঠাঁই পেয়েছে তাঁর উপন্যাসে। জলদাপাড়া, মাদারিহাট, বীরপাড়া, মালবাজার, রাজাভাতখাওয়া, হলং, গরুমারা এবং ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকা জীবন্ত হয়ে উঠেছে তাঁর লেখনির গুনে। কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গের পাঠকের মানসপটে ভেসে উঠেছে জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা, রূপমায়া সিনেমা, হাকিমপাড়া, শিল্পসমিতি পাড়া, রায়কতপাড়ার প্রাণময় ছবি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles