মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের গুরুত্ব বোঝালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, “যে শিশু মাতৃভাষায় কথা বলতে পারবে না, পড়তে পারবে না, মাতৃভাষায় পড়ার সুযোগ দেওয়া হবে না, সেই শিশুর ভাবনা, বিচার করার ক্ষমতা থাকবে না”। তিনি জানান, সেই জন্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষার ওপর জোর দিয়েছেন। রবীন্দ্র-তীর্থ শান্তিনিকেতনের শিক্ষা ব্যবস্থারও ভূয়সী প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গোটা বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনুকরণযোগ্য হল শান্তিনিকেতন। আগামিদিনে শান্তিনিকেতনই সমস্ত বিশ্বকে শিক্ষার নয়া পথ দেখাবে”। তিনি বলেন, “শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Thakur) শিক্ষাকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন”।
অমিত শাহ (Amit Shah) উবাচ...
স্বাধীনতা আন্দোলনেও যে রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা ছিল, এদিন তাও স্মরণ করিয়ে দেন শাহ। তিনি (Amit Shah) বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি নেতার অনুপ্রেরণা ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ। বিশ্বের দরবারে ভারতের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে তিনিই তুলে ধরেছিলেন। প্রথমবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারও তিনি এনেছিলেন। দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতাও ছিলেন রবীন্দ্রনাথ”। কেবল বাংলা নয়, শাহের রাজ্য গুজরাটের সঙ্গেও যে কবিগুরুর বিশেষ সম্পর্ক ছিল, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গুজরাট ও গুজরাটি সাহিত্যের সঙ্গে গুরুদেবের বিশেষ সম্পর্ক ছিল। গুজরাটের অনেক সাহিত্য রবীন্দ্রনাথ বাংলায় অনুবাদ করেছেন এবং আহমেদাবাদের অনেকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। আজও আহমেদাবাদের মানুষ রবি ঠাকুরকে স্মরণ করেন”।
আরও পড়ুুন: “স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামো না থাকা সরকারের ব্যর্থতা,” রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
এদিন সকালে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে শাহ শ্রদ্ধা জানান কবিগুরুকে। ঘুরে দেখেন ঠাকুরবাড়ি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সন্ধেয় সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত রবীন্দ্র সন্ধ্যায় যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর একটি ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ শো-র উদ্বোধনও করেন তিনি। তার আগে তিনি (Amit Shah) গিয়েছিলেন পেট্রাপোল সীমান্তে। সেখানে একটি থানার উদ্বোধন করেন শাহ। শিলান্যাস করেন দ্বিতীয় কার্গো গেটের। প্রশংসা করেন বিএসএফের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আর্থিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা পেট্রাপোলের। পেট্রাপোল সীমান্তে বাণিজ্যের অঙ্ক বেড়েছে”। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, তাও জানান শাহ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours