Recruitment Scam: সিবিআইয়ের পর পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করছে ইডি

তদন্তকারীদের দাবি, রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় চাকরি দেওয়ার নাম করে ৪০ কোটি টাকা তুলেছিল অয়ন শীল।
1500x900_2876248-untitled-40-copy
1500x900_2876248-untitled-40-copy

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) তদন্ত শুরু করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগেই এই মামলায় তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের (Ayan Shil) সংস্থা এবিএস ইনফোজনের নামে ইসিআইআর দায়ের করেছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় চাকরি দেওয়ার নাম করে ৪০ কোটি টাকা তুলেছিল অয়ন শীল। অয়নকে জেরা করে জানা গিয়েছে, ষাটটির বেশি পুরসভায় প্রায় ৬ হাজার জনের বেআইনি নিয়োগের মধ্যে ৮০-৯০%-ই হয়েছে রেকমেন্ডেশন লিস্ট অনুসারে। বাকি ১০ পার্সেন্ট অয়ন শীল নিজের কোটায় নিয়োগ করেছিলেন।

পুর কর্মীরাই অয়নের এজেন্ট

ইডি সূত্রের খবর, পুরসভায় নিয়োগের (Recruitment Scam) জন্য বিভিন্ন প্রার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা টাকা প্রভাবশালী ও নেতাদের কাছে পাঠাতেন অয়ন। পুরসভা কর্মীরাই এজেন্ট হয়ে অয়ন শীলকে লিস্ট পাঠাত বলে অভিযোগ। ইডি-র দাবি, বিপুল টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে পুরসভার পিওন, ক্লার্ক, ইঞ্জিনিয়ার, মজদুর সহ বিভিন্ন পোস্টের চাকরি। অযোগ্যপ্রার্থীরা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছে। এমনকী, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীলের সাংকেতিক কোড রহস্যের সন্ধানও পায় ইডি। অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধারের কথা জানায় ইডি। অয়নের অফিস থেকে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা যায় ইডির তরফে।

আরও পড়ুন: বাংলায় নিষিদ্ধ! বিশ্ব মাতাচ্ছে বাঙালির তৈরি ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’

পুর-দুর্নীতিতে অয়ন-যোগ

একদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি অন্যদিকে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি, দুদিক থেকে বেআইনি ভাবে কোটি কোটি টাকা এসেছে অয়ন শীলের কাছে। অয়নের ছেলে অভিষেক শীল, স্ত্রী কাকলি শীল, ছেলের বান্ধবী, অয়নের মা, বাবা এবং অয়নের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীও রয়েছেন ইডির নজরে। এঁদের নামে বহু সম্পত্তি ও ব্যাঙ্কের লেনদেন রয়েছে বলে দাবি ইডির। ইডি সূত্রে দাবি, অয়নের কাছ থেকে যে সমস্ত ওএমআর শিটের প্রতিলিপি মিলেছে, সেগুলি পুরসভায় নিয়োগ (Recruitment Scam) সংক্রান্ত পরীক্ষার। ইডি মনে করছে, অয়নের সংস্থা যে সব উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে, সে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। ইডির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরানগর-সহ একাধিক পৌরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন অয়ন। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles