মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের শুক্রবারই প্রাথমিকে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেই রায়ের (Recruitment Scam) সংশোধন করে নিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির মতে, সংখ্যাটা ৩২ হাজারের কাছাকাছি হবে। সোমবার মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে একটা টাইপে ভুল রয়েছে। মঙ্গলবার সেই আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি নির্দেশ দেন, যে দুটি ভুলের কথা বলা হয়েছিল সেটি সংশোধন করা হবে। প্যানেলের সর্বনিম্ন নম্বর রায়ে লেখা হয়েছে ১৪.১৯১। আসলে ওটা হবে ১৩.৭৯৬। এবং দ্বিতীয় ভুলটি হল চাকরি বাতিলের সংখ্যা হবে ৩১,৭৯০, যা ভুল করে ৩৬,০০০ করা হয়েছিল।
কেন এই মামলা?
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে টেট পরীক্ষার ঘোষণা করেছিল তা সম্পন্ন হয় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয় ঠিক এক বছর পরে ২০১৬ সালে এবং ওই বছরেই প্রথম ধাপে নিয়োগ করা হয়। সেই সময়ে ৪২ হাজার ৫০০ জনের প্যানেল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু ২,০০০ শিক্ষকের পদ তবুও অজানা কারণে পূরণ করেনি তারা। সেই প্যানেলে যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই নাকি বেনিয়মে চাকরি পেয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দায়ের হয় মামলা। আরও ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়তে থাকে পর্ষদের অফিসে। অভিযোগ, কোনওরকম ইন্টারভিউ ছাড়াই অপ্রশিক্ষিতদের চাকরি (Recruitment Scam) দিয়েছে পর্ষদ। পরবর্তীকালে ডিএলএড বাধ্যতামূলক হলেও ২০১৪ টেটে তা বাধ্যতামূলক ছিলনা। ২০১৪ এর টেটে প্রায় ৩২ হাজারের কাছাকাছি প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ, ‘‘আগামী চারমাসের মধ্যে স্বচ্ছ নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে, যতদিন এই প্রক্রিয়া চলবে ততদিন পার্শ্ব শিক্ষকের মতো বেতন পাবেন বাতিল এই প্যানেলের শিক্ষকরা।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours