West Bengal Health: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

রামপুরহাট হাসপাতালেও দালালচক্রের অভিযোগ! মদনের পর তালিকায় এবার দলের কারা?
West_Bengal_Health_(7)
West_Bengal_Health_(7)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদন মিত্রের সুরে এবার হাসপাতালে (West Bengal Health) দালাল চক্রের অভিযোগ তুললেন দলেরই দুই সাংসদ এবং বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার। এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও। সিসিটিভি দেখে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। মাস দুয়েকের মধ্যে এনিয়ে ফের পর্যালোচনা বৈঠকে জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কী বললেন শতাব্দী রায়? কেনই বা বললেন? 

প্রসঙ্গত, ধীরে ধীরে নতুন পালক লেগেছে রামপুরহাট হাসপাতালের (West Bengal Health) মাথায়। এক সময়ের রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল সুপার স্পেশালিটি থেকে স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতাল হয়ে এখন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু পরিষেবা সেই তলানিতে। আজও রোগীদের বদলি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিংবা স্থানীয় কোনও নার্সিং হোমে। অভিযোগ, এক শ্রেণির দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা। এনিয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়েছেন সাংসদ থেকে বিধায়ক। সেই সমস্ত পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ নিয়ে রবিবার রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুরে তারাবিতান গেস্ট হাউসের সভাকক্ষে বৈঠকে বসেন বীরভূম এবং বোলপুরের সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা শাসক বিধান রায় সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সেখানেই দালাল রাজ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শতাব্দী রায় অভিযোগ করেন, একজন রোগীর জন্য তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাননি। বাধ্য হয়ে রোগীকে নার্সিং হোমে ভর্তি করতে হয়। তিনি বলেন, "আমরা জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে পরিষেবা পাবে। এভাবে চলতে পারে না। আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে আলোচনা হয়েছে।”

কী বললেন তৃণমূলের আর এক সাংসদ অসিত মাল?

সাংসদ অসিত মাল বলেন, “হাসপাতালের কিছু চিকিৎসকের সঙ্গে অসাধু কর্মী এবং দালাল চক্র রোগীদের নার্সিংহোমে যেতে বাধ্য করে। হাসপাতালে (West Bengal Health) উন্নত পরিষেবা থাকা সত্ত্বেও বাইরে থেকে এক্স রে, ইউএসজি সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করতে বাধ্য করছে দালাল চক্র। এছাড়া রোগীদের সঙ্গে নার্সিং স্টাফদের দুর্ব্যবহার বন্ধ হওয়া দরকার। দুপুরে ভর্তি হওয়া রোগীকে একদিন পর কেন চিকিৎসক দেখবেন?” এছাড়াও জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র দ্রুত দেওয়ার দাবি জানান অসিতবাবু। এতদিন হাসপাতালের সামনে জল জমা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রোগীর আত্মীয়রা। এবার এনিয়ে অভিযোগ তুললেন খোদ সাংসদ অসিত মাল। তিনি বলেন, “অবিলম্বে হাসপাতালের সামনে জল জমা বন্ধ করতে হবে”।

নজর দেওয়ার চেষ্টা হবে, মিলল শুধু আশ্বাস

দালাল চক্রের কথা মেনে নেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অনেক উন্নয়ন করেছেন। কিছু ত্রুটি রয়েছে। তা সংশোধনের চেষ্টা চলছে”। জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “কিছু অভিযোগ (West Bengal Health) উঠেছে। সেগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আগামী দিনে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলা হয়েছে।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles