মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসাধিককাল ধরে উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে বিদেশিদের হাত। অন্তত এমনই আশঙ্কা মণিপুরের আদিবাসীদের সংগঠনের। অশান্তির ফোকর গলে অনুপ্রবেশও চলছে উত্তর-পূর্ব ভারতের (India) এই রাজ্যে। যার জেরে বদলে যাচ্ছে এ রাজ্যের জনসংখ্যার গ্রাফ। আদিবাসীদের দাবি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
মণিপুরে (Manipur) অশান্তির নেপথ্যে
মণিপুরে আদিবাসীদের সংগঠনের নাম নর্থ-ইস্ট ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরাম। সম্প্রতি অসমের গুয়াহাটির ভগবতী প্রসাদ বরুয়া ভবনে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন এই সংগঠনের জনা তিরিশেক সদস্য। সেখানেই অশান্তির নেপথ্যে থাকা বিদেশি শক্তির অদৃশ্য হাতের (যদি থাকে) ব্যাপারে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি তোলেন তাঁরা। সংগঠনের দাবি, অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে মণিপুরে। তাই নিত্য বাড়ছে সমস্যা। বদলে যাচ্ছে জনসংখ্যার গ্রাফ। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিক। অশান্তির (Manipur) নেপথ্যে কোন শক্তি, তাও তদন্ত করে দেখুক কেন্দ্র।
আদিবাসী সংগঠনের আবেদন
রাজ্যে বাইরে থেকে কেউ আসছে কি না, সে ব্যাপারে নজরদারি চালানোর জন্যও সংগঠন আবেদন করেছে মণিপুরবাসীর কাছে। নর্থ-ইস্ট ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরামের চেয়ারম্যান অনুট চেটিয়া বলেন, “মণিপুরের এই সঙ্কটের পিছনে বিদেশিদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদত রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখার জন্য আমরা কেন্দ্রের কাছে আবেদন করছি। যদি বিদেশিদের কোনও ইন্ধন থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক।”
আরও পড়ুুন: ‘সর্বদল বৈঠক না ডেকেই ভোট ঘোষণা’! রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর
সংগঠনের দাবি, মণিপুরে বসবাসকারী সব কুকি মায়ানমার থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী নয়। গত কয়েক বছরে এ রাজ্যে এসেছে কুকি-চিন জাতির লোকজন। দখল করেছে মণিপুরের সংরক্ষিত বনাঞ্চল। তাই মণিপুরে (Manipur) এখন কুকি-চিন উপজাতির জনসংখ্যা ৩০ শতাংশের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুপ্রবেশকারীরা চূড়াচাঁদপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় পোস্তচাষ করছে। এই পোস্তচাষ বন্ধেই উদ্যোগী হয়েছে সরকার। দখলিকৃত বনাঞ্চল ফেরত পেতেও চলছে অভিযান। সংগঠনের অনুমান, সেই কারণেই মেইতেইদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে অনুপ্রবেশকারীরা।
এদিকে, ফের অশান্তির আশঙ্কায় এখনই অস্ত্র সমর্পণ করতে চাইছেন না মণিপুরবাসীর একাংশ। দিন কয়েক আগে অস্ত্র সমর্পণ করতে তাঁদের অনুরোধ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পর শুরু হয়েছিল অস্ত্র সমর্পণের কাজ। যদিও ফের অশান্তি শুরু হওয়ায় এখনই অস্ত্র সমর্পণে রাজি নন তাঁরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours