মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ফোন তদন্তকারীদের কাছে যেন তথ্যের খনি! ইডির অভিযোগ, সুজয়কৃষ্ণের ফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে দিয়েছিলেন পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরা! তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগেই কলকাতার ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেই মতো শুক্রবার সকালে ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন বিষ্ণুপুরের ওই সিভিক ভলান্টিয়ার।
কী জানা গেল ইডি সূত্রে?
এই নিয়ে তৃতীয়বার ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। এর আগে তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাহুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। আদালতে ইডি জানিয়েছে, এই সিভিক ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক নথি লোপাটের চেষ্টা করেছেন।
কেন এত গুরুত্বপূর্ণ কালীঘাটের কাকুর (Kalighater kaku) মোবাইল ফোন?
প্রসঙ্গত, সুজয়কৃষ্ণ দাবি করেছিলেন, তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ২০২১ সালের আগে পর্যন্ত চিনতেন না। কিন্তু ইডির অভিযোগ, মানিকের হোয়াটস্অ্যাপ কথোপকথন ঘেঁটে ২০১৮ সাল থেকে সুজয়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। মানিক গ্রেফতার হন ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর। অর্থাৎ, অন্তত ৭ মাস আগে থেকেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের প্রাক্তন কর্মী এই ‘কালীঘাটের কাকু’।
৩০ মে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু
গত ৩০ মে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ১১টার দিকে সুজয়কে গ্রেফতার করে ইডি। পরের দিনই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে ইডি জানিয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সুজয়ের কথায় ফোন থেকে মুছে দিয়েছিলেন রাহুল। ইডি সূত্রে খবর, এই বিষয়ে সুজয়কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু তাদের কাছে এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ আছে, এমনটাই বলছেন ইডি আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, গত মাসের ৪ মে সুজয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল আর এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই সময় তল্লাশি চালানো হয় ‘সুজয়-ঘনিষ্ঠ’ রাহুলের বাড়িতেও।
আরও পড়ুন: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ
+ There are no comments
Add yours