মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার এক অখ্যাত রেলস্টেশন বাহানগা বাজার (Bahanaga Bazar Station)। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল এই স্টেশন। ২ জুনের অভিশপ্ত সেই রাতের সাক্ষী ছিল অখ্যাত এই স্টেশনই। এই স্টেশনেই আপাতত আর কোনও ট্রেন থামবে না। শালিমার চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। সেই তদন্ত শেষ না হওয়া ইস্তক আর কোনও ট্রেন থামবে না বালাসোর জেলার বাহানগা বাজারে।
রেলের বক্তব্য
দুর্ঘটনাস্থলটি দক্ষিণ পূর্ব রেলের জোনের মধ্যে পড়ে। এই জোনের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য কুমার চৌধুরী বলেন, “সিবিআই ইতিমধ্যেই বাহানাগা বাজার স্টেশন সিল করে দিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে লগ বুক, রিলে প্যানেল এবং অন্যান্য সরজ্ঞাম। রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেম সিল করে দেওয়ার ফলে রেলকর্মীদের পক্ষে সিগন্যালিং পয়েন্ট অপারেট করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও প্যাসেঞ্জার বা মালগাড়ি এই স্টেশনে থামবে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত সিবিআই পরবর্তী নোটিশ দিচ্ছে, ততক্ষণ এই নির্দেশ জারি থাকবে।”
বাহানগা বাজার (Bahanaga Bazar Station)
বালাসোর জেলার এই স্টেশনে (Bahanaga Bazar Station) এক্সপ্রেস, লোকাল কিংবা মালগাড়ি নিয়মিত দাঁড়াত না কোনওকালেই। তবে সিগন্যাল না পেলে দাঁড়িয়ে পড়ত। অপেক্ষা করতে হত সবুজ সংকেতের। দুর্ঘটনার পর এবার আর সেটাই হবে না। বাহানগা বাজারের নিকটবর্তী সোরো এবং খান্তাপাদা স্টেশনেই আপাতত সিগনালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ট্রেনগুলিকে।
আরও পড়ুুন: ‘উদ্ধব ঠাকরে বিজেপির সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন’, মহারাষ্ট্রের সভায় শাহি তোপ
২ জুন দুর্ঘটনার করলে পড়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয়েছিল ২৮৮ জন যাত্রীর। জখম হয়েছিলেন ১১০০-র বেশি মানুষ। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। নেমেছিল বায়ুসেনা, এনডিআরএফের ৯টি দল। হেলিকপ্টারের সাহায্যে চলছিল উদ্ধারকাজ। ট্রেনের দরজা ভেঙে, গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়েছিল জীবিত ও মৃত যাত্রীদের। উদ্ধারকাজে গতি আনতে অকুস্থলে (Bahanaga Bazar Station) পাঠানো হয়েছিল মালদহ ডিভিশনের ২২৪ জন আরপিএফ জওয়ানকে। দুর্ঘটনার জেরে বাহানাগা বাজারে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল ৫১ ঘণ্টা। লাইনচ্যুত হওয়া ১৫টি কামরা সরিয়ে ফেলে ফের চালু করা হয় ট্রেন চলাচল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours