Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘সাময়িক’ স্বস্তি পেলেন চাকরিহারা সেই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক

প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অ্যাপটিটিউড টেস্টও হয়নি বলে অভিযোগ...
1018815-953467-supreme-court-file
1018815-953467-supreme-court-file

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি পেলেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। এঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই পদগুলিতে নতুন করে নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

এনসিটিই-র নিয়ম

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট নেওয়া হয় ২০১৪ সালে। তার ভিত্তিতে নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। নিয়োগপত্র পান ৪২ হাজার ৫০০ জন। সেই সময় এনসিটিই-র নিয়মে বলা হয়েছিল, নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের। তার পরেও শূন্যস্থান থাকলে, সুযোগ পাবেন প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা। অবশ্য দু বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিতে হবে তাঁদের। নিয়োগ-পর্ব শেষ হওয়ার পরেই অভিযোগ ওঠে, চাকরি পাননি বহু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীই। তার বদলে চাকরি পেয়েছেন (Supreme Court) প্রশিক্ষণহীন বহু প্রার্থী। প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অ্যাপটিটিউড টেস্টও হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি গড়ায় আদালত অবধি।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। জানা যায়, সেবার কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্টই হয়নি। অনেকে আবার জানান, টেস্ট নিয়ে কোনও নির্দেশ ছিল না। এর পরেই মে মাসে (Supreme Court) ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে অবশ্য জানা যায়, ৩৬ হাজার নয়, ৩২ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছেন তিনি। চার মাসের মধ্যে ওই পদগুলিতে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশও তিনি দিয়েছিলেন পর্ষদকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, চাকরিহারারা এই চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে তাঁরা বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের সম হারে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, পর্ষদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন এই চাকরিহারারা।

আরও পড়ুুন: ভোটের আগে অনুব্রতর গড়ে উদ্ধার ২০০ তাজা বোমা, জেলাজুড়ে শোরগোল

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশ। এবার শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত জানায়, ওই শিক্ষকরা যেমন ছিলেন, তেমনিই থাকবেন। তবে পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তাতে অংশ নিতে পারবেন ওই চাকরিহারারা। সেখানে ব্যর্থ হলে, চাকরি খোয়াবেন তাঁরা।

ডিভিশন বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যান চাকরিহারাদের একাংশ। এদিন আদালত জানায়, এই শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট এতদিন যা যা নির্দেশ দিয়েছে, তা খারিজ করা হচ্ছে। হাইকোর্টের নয়া ডিভিশন বেঞ্চে নতুন করে মামলার শুনানি হবে। তাঁরাই নতুন করে বিচার করবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles