মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque) ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিল বারাণসী জেলা আদালত। শুক্রবার আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে আদালতের তরফে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, ওজুখানায় পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ এবং সন্নিহিত এলাকায় এখনই কোনও সমীক্ষা করা হবে না। প্রসঙ্গত, পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে দিয়ে সমীক্ষা করানোর আবেদন আদালতে জানিয়েছিলেন চার হিন্দু মহিলা। আর মসজিদ কমিটির তরফে বিরোধিতা করা হয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ এলাকায় কোনওরকম সমীক্ষার। দু পক্ষের মতামত শোনার পর ১৪ জুলাই রায় সংরক্ষিত রেখেছিলেন সিনিয়র বিচারক অজয় কুমার বিশ্বেস। ৪ অগাস্টের মধ্যে সমীক্ষা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
মা শৃঙ্গার গৌরী
একুশের অগাস্ট মাসে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi Mosque) মা শৃঙ্গার গৌরী (বর্তমানে যা ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের ভিতরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্ব দাবি করে প্রার্থনার অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করেন। এর পরেই মসজিদের ভিতরের ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দেন বারাণসীর নিম্ন আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর। পরে প্রাপ্ত নমুনাগুলির কার্বন ডেটিংয়ের পরীক্ষার আবেদন জানায় হিন্দু সংগঠনগুলি।
ওজুখানায় শিবলিঙ্গ!
হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, মসজিদ চত্বরের ওজুখানায় শিবলিঙ্গ রয়েছে। তার বয়স জানার জন্য কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়। বিশ্বেশ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলেছিলেন, শিবলিঙ্গের অস্তিত্ব খোঁজার জন্য জ্ঞানবাপী চত্বরে কোনওরকম বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের কাজ করা যাবে না। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জানানো হয়েছে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।
গত মে মাসে হিন্দু মহিলা ভক্তদের তরফে সিল করা ওজুখানা (Gyanvapi Mosque) এলাকার বাইরে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছিল। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সেই দাবি মেনে নিয়েছেন বিচারক বিশ্বেস। এই মামলায় নিযুক্ত উত্তর প্রদেশ সরকারের বিশেষ কৌঁসুলি রাজেশ মিশ্র এদিন বলেন, কোনও হিন্দু মন্দিরের জায়গায় মসজিদ গড়া হয়েছে কিনা, তা সমীক্ষা করে দেখবেন পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ।
১৯৯১ সালে জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে মামলা দায়ের হয় বারাণসী আদালতে। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একটি অংশ ভেঙে এই মসজিদ তৈরি করা হয়। এর পরেই মসজিদ চত্বরে পুজোর অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের হয়। দাবি জানানো হয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের সমীক্ষারও। প্রসঙ্গত, মন্দিরের ওজুখানায় শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, ওজুখানায় শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে যা বলা হচ্ছে, তা আদতে একটি ফোয়ারা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours